মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা: এত কিছু করেও ঘুণ ধরাকে আটকাতে পারল না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বুথ ফেরত সমীক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই কমল মার্জিন। হ্যাঁ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections) জিতে গেলেও বিজেপি যে জনপ্রিয়তার নিরিখে পিছিয়ে পড়েছে তা আসন সংখ্যা দেখলেই বেশ বোঝা যায়। মোদিই বিজেপির মুখ। গোটা দেশের সঙ্গে সঙ্গে এই রাজ্যেও এটাই সত্য। রাজ্যের নেতারা যাই করুন না কেন গেরুয়া বাহিনীর শেষ কথা মোদি-শাহ জুটি। এই কারণ যে দলের জন্য চিরকাল ভাল ফল দিয়ে যাবে না, সেটা দেখিয়ে দিল হরিয়ানা (Hariyana), দেখিয়ে দিল মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলতে শুরু করেছেন, প্রদেশ নেতৃত্বের কোনও মুখকে সামনে না রাখাটা কাজের কাজ হয়নি। ফল পোহাতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে।
তাই জিতলেও সংখ্যা গরিষ্ঠতার বিচারের ২০১৪-র ধারেকাছে নেই বিজেপি (BJP)। মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১৫৬টি আসন পেয়েছে বিজেপি-শিব সেনা জোট। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে ১২২টি আসন পেলেও জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে লাগাতার প্রচার সত্ত্বেও এবার মাত্র ৯৯টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দলকে। পাশাপাশি, ৫৭টি আসন পেয়ে নিজে অবস্থান টিকিয়ে রাখতে সফল জোটসঙ্গী শিব সেনা। ফল প্রকাশের পরে সাংবাদিক বৈঠকে যৌথ মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে স্বাভাবিক ভাবেই জোরালো সওয়াল শুরু করে দিয়েছেন সেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরে। হরিয়ানায় কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিজেপি। রাজ্যের ৯০টি আসনের মধ্যে তাদের দখলে রয়েছে ৪০টি এবং কংগ্রেস পেয়েছে ৩১টি আসন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে প্রথম ভোটে দাঁড়িয়ে ১০টি আসনে জয়ী জননায়ক জনতা পার্টির ভূমিকা। দলের নেতা দুশ্যন্ত চৌতালা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লে যে কোনও শিবিরে যোগ দিতেই তিনি রাজি। যদিও জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভা গঠনের দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। আরও পড়ুন-Maharashtra Assembly Elections 2019 Results: মহারাষ্ট্রে ফের সরকার গড়ার পথে বিজেপি-শিবসেনা জোট, ওরলি আসনে জয়ী আদিত্য ঠাকরে
সে যাইহোক নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ঝড়ে যে আর জনগণ খুব এটা আন্দোলিত হয় না তা এই দুই রাজ্যে বিজেপির ফলাফল দেখলেই সহজে অনুমান করা যায়। যতই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে ও অসমে এনআরসি-র জুজু দেখিয়ে জাতীয়তা বোধ বাড়ানোর চেষ্টা হোক না কেন, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক মন্দা, ব্যাংক বিপর্যয় মোদিবাহিনীকে কোণঠাসা করে দিয়েছে।