ভোপাল, ২৬ ডিসেম্বর: বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের (Pragya Thakur) খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে বিমানের মধ্যে এবার ভোপালের মাখনলাল চতুর্বেদী বিশ্ববিদ্যালয় (Makhanlal Chaturvedi University) চত্বরে। কেউ তাঁর উপদেশ শুনছে না, দেখামাত্রই তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলে চুপ করিয়ে দিচ্ছে। বুধবার তেমনটাই ঘটল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানার ছাত্রীদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন। মূলত ক্লাসে উপস্থিতির হার নিয়ে কোনও গোলয়োগ দেখা দিতেই এই বিক্ষোভ অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। তাই খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিজেপি সাংসদ। তবে গেটের মুখেই কংগ্রেসের ছাত্র ইউনিয়ন এনএসইউআই-এর প্রতিরোধের মুখে পড়েন তিনি। স্লোগান ওঠে, ‘আতঙ্কি ওয়াপাস যাও।’
এককথায় প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দাগিয়ে দেয় পড়ুয়ার দল। বিক্ষোভরত ছাত্রীদের সঙ্গে আর দেখা করতে পারেননি বিজেপি সাংসদ। গোটা ঘটনায় তিনি বেজায় রেগে গিয়েছেন। ওই ছাত্র ইউনিয়নের পড়ুয়াদের যে ভালরকম বেগ দেবেন তা সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘যার আজ আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এনএসইউআই পড়ুয়ারা বিশ্বাসঘাতক। তার দেশের সাংবিধানিক পদে থাকা এক মহিলাকে হেনস্তা করেছে। শাস্তি তো তাদের পেতেই হবে।’ এএনআই-কে তিনি বলেছেন, “তারা বলেছে সাংসদ একজন সন্ত্রাসবাদী। এই মন্তব্য বেআইনি ও অসৌজন্যমূলক। তারা একজন সাংবিধানিক পদে থাকা মহিলাকে হেনস্তা করেছে। এরা সবাই বিশ্বাসঘাতক। আমি এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ নেব।” আরও পড়ুন-PM Narendra Modi Unveils Atal Bihari Vajpayee's Statue: লখনউতে অটল বিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি উন্মোচন করলেন নরেন্দ্র মোদি
BJP MP Pragya Thakur: They said MP is a terrorist, these words are illegal & indecent. They abused a female MP, on a constitutional post, they are all traitors. I will definitely take action. #Bhopal #MadhyaPradesh (25.12.19) https://t.co/zVY1c8pIxP pic.twitter.com/N1QnuW0Rhu
— ANI (@ANI) December 25, 2019
মালেগাঁও বিস্ফোরণের সঙ্গে সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের নাম জড়িয়েছে অনেক আগেই। তাঁকে বিজেপি যখন ভোপালের প্রার্থী করল তখন থেকেই বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করে। তবে তারপরেও লোকসভায় জিতে সাংসদ হয়ে যান প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। এরপর বিতর্কিত মন্তব্য করে বার বার শিরোনামে এসেছেন। কখনও বলেছেন, গডসে দেশপ্রেমিক। কখনও গান্ধীজির কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাহুল গান্ধীকে সংসদে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেও সফল হননি।