নতুন দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি: “বুলেট নয় ব্যালটের জয় হওয়া উচিত।” নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রচারে ফিরে একথাই বললেন দিল্লির বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সামনেই রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে দিল্লিকে মুঠোয় পুরতে বিজেপি কোনওরকম সুযোগই ছাড়ছে না। অন্যদিকে ক্ষমতায় থাকা মসনদ হাতছাড়া করতে নারাজ আপ পার্টি। কংগ্রেসও তাল মিলিয়ে নির্বাচনের ময়দানে লড়াইতে নেমে পড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে হিন্দুত্বের তাসে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছে বিজেপি। তাই দলীয় নেতা মন্ত্রীরা যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন সেখানে গিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে পরিবেশ গরম করার চেষ্টা করছেন। সংশোধিত নারিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এমনিতেই উত্তাল রাজধানী। তারপর একের পর এক বিজেপি নেতার বিরূপ মন্তব্যের ফল ফলছে শাহিন বাগে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কয়েকদিন আগেই দেশের গদ্দারদের গুলি মামার নিদান দিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। নির্বাচনী প্রচারে গিয়েই তিনি একথা বলেন। এরপরই অনুরাগ ঠাকুরের বিরোধিতায় মুখ খোলে বিরোধীরা। কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে উঠেপড়ে লাগতেই নির্বাচন কমিশন প্রায় বাধ্য হয়েই অনুরাগ ঠাকুরকে প্রচারের বাইরে রাখার নির্দেশিকা জারি করে। শাস্তি হিসেবে তিনিদিন প্রচারে অংশ নিতে পারেননি বিজেপির এই মন্ত্রী। এই ঘটনার দুদিনের মদ্যেই জামিয়ার বাইরে রামভক্ত গোপাল শর্মা গুলি চালায়। আহত হন এক পড়ুয়া গোটা ঘটনায় অনুরাগ ঠাকুরের ভূমিকার সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। তাঁদের প্ররোচনাতেই যে এসব হামলা চলছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। আরও পড়ুন-44th Kolkata International Book Fair 2020: বাঙালির মনের বারান্দা, কলকাতা বইমেলায় একটি দিন
জামিয়ায় একের পর এক যে গোলাগুলি চলচে, তার সহ্গে অনুরাগ টাকুরের বক্তব্যে অনুপ্রাণীত হয়ে যে রামভক্তরা হামলা চালাচ্ছে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই দিল্লির ক্ষমতা থাকা আপ পার্টি এই বিষয়ের উল্লেখযোগ্য তদন্ত দাবি করেছে। আপের দাবি, অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্যে অনুপ্রাণীত হয়েই হামলা চালিয়েছে রামভক্ত গোপাল শর্মা। এদিকে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসবা নির্বাচন, তার আগে এই একের পর এক হামলার ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজধানী। আতঙ্কে বাসিন্দারা।