পুনের পোর্শে (Porche) দুর্ঘটনার কথা এখনও কারোরই অজানা নয়। গত মে মাসে একটি নাবালকের বিলাসবহুল গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়ছিল ২ বাইক আরোহীর। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। এমনকী ঘটনার পর পুলিশের দায়িত্ব নিয়েও যথেষ্ট সমালোচনা হয়। সেই পুনে পুলিশ এই ঘটনার ৬৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল আদালতে। জানা যাচ্ছে ৯০০ পাতার এই চার্জশিটে ওই কিশোরের বাবা, মা ও সেশন হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্ট ও রক্তের নমুনা পরিবর্তনের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাশাপাশি জুভেনাইল বোর্ডের বিরুদ্ধে একটি পৃথক মামলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁরা ওই নাবালককে থানায় নিয়ে গিয়ে ৩০০ শব্দের একটি দুর্ঘটনা সংক্রান্ত রচনা লিখিয়ে ছেড়ে দেয়।

গত ১৯ মে পুনের কল্যানী নগরের রাস্তায় বেলাগাম গতিতে নিজের পোর্শে গাড়ি চালিয়ে দুই যুবক যুবতির স্কুটিতে ধাক্কা মারে। আর এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। জানা গিয়েছিল এই কিশোরটি পুনের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিকের ছেলে। ঘটনার দিন স্থানীয় একটি পানশালা থেকে মদ খেয়ে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। পরবর্তীকালে তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে সে প্রভাব খাটিয়ে নিজের ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। এই অভিযোগ ওঠার পরেই ওই কিশোরের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়, পরবর্তীকালে তাঁর দাদু এবং মাকেও গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীকালে ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তে নামে।

মে মাসে এই ঘটনার পর জুলাই মাসেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় পুনের বানের-পাশান রোডে। সেখানেও এক ২৭ বছর বয়সী এক যুবক গাড়ি চালিয়ে এক মহিলাকে পিষে মারে। পরবর্তীকালে জানা যায় ওই যুবক শিবসেনা (শিন্ডে শিবির)-এর বিধায়কের ছেলে। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করে স্থানীয় পুলিশ। এই ঘটনারও তদন্ত করছে পুনে পুলিশ।