নতুন দিল্লি, ১১ মে: সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) পঞ্চম ভিডিও কনফারেন্স (Fifth Video Conference) অনুষ্ঠিত হয়। আজ দেশে কোভিড -১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যায় প্রবল হরে বাড়ার কয়েক ঘণ্টা পরে ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। বৈঠকে করোনভাইরাস লকডাউনের বিষয়েই মূলত আলোচনা করা হয়। শাটডাউনের তৃতীয় পর্বের মেয়াদ আগামী ১৭ মে শেষ হওয়ার কথা।
প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে বা শিথিলকরণের ঘোষণা দেওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে কথা হয়। গ্রিন জোন মনোনীত দেশের বেশ কয়েকটি অংশে, সীমিত পরিমাণে গণপরিবহন এবং অপ্রয়োজনীয় শপগুলিকে কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। আরও পড়ুন, লকডাউনে বাংলা থেকে অন্য রাজ্যে যেতে বা ফিরতে চাইছেন? জানুন কীভাবে ই-পাস আবেদন করবেন
ধীরে ধীরে যাত্রী পরিষেবা পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১২ মে থেকে, রেলওয়ে নয়াদিল্লি থেকে ১৫ টি ট্রেন চালাবে বলে জানানো হয়। আগামী দিনগুলিতে, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং স্বাভাবিক পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হবে বলে একটি বিবৃতিতে সরকার একথা জারি করেছে। যাত্রীদের অবশ্য সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
এদিকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে করোনা নিয়ে কেন্দ্র সরকার রাজনীতি করছে বলে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে নিয়ে হওয়া বৈঠকে তিনি বলেন, কেন্দ্র করোনা-যুদ্ধে তাদের পছন্দের রাজ্যগুলির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে এবং একটি নির্দিষ্ট স্ক্রিপ্ট মেনে কাজ করছে। তাঁর কথায়, 'কেউ আমাদের পরামর্শ দিতেও বলছে না।' তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে যোগ দেন নমো। করোনা মোকাবিলায় পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে বৈঠকে জানান তিনি।