নতুন দিল্লি, ১ মে: করোনাভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) দ্বিতীয় পর্ব শেষ হতে মাত্র দু'দিন বাকি। তাই আগামী দিশা ঠিক করতে আজ মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বৈঠকে বিমান, রেল ও সড়ক পরিবহন নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকর গ্রিন জোনে থাকা জেলাগুলিতে লডাউন শিথিল করতে নির্দেশ দিয়েছে। দেশের সমস্ত জেলাকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কয়েকটি রাজ্য লকডাউন নিজেরা বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এবং ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু লকডাউন সময়কাল বাড়ানো হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তাই এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আরও পড়ুন: First Train Ran Amid Lockdown: তেলাঙ্গানার লিঙ্গামপল্লি থেকে ঝাড়খণ্ডের হাটিয়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে চলল ট্রেন
রোনাভাইরাস (Croronavirus) অতিমারীর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry) সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জেলাগুলিকে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে (Red, Orange and Green Zones) ভাগ করেছে। দেশে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন রয়েছে যথাক্রমে ১৩০, ২৮৪ এবং ৩১১। দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বই - এই চারটি প্রধান মহানগর রেড জোন। রেড জোনের আওতাধীন অন্য বড় শহরগুলি হল বেঙ্গালুরু আরবান, বেঙ্গালুরু পল্লি, লখনউ, হায়দরাবাদ, ইন্দোর, ভোপাল, পটনা, আমেদাবাদ, সুরাত, পুনে এবং নাগপুর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেক্রেটারি প্রীতি সুদান উপরোক্ত তালিকা সহ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিবদের চিঠি পাাঠিয়েছেন। মন্ত্রকের শেয়ার করা তথ্য অনুসারে, উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক ১৯টি রেড জোন রয়েছে। তার পর রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে রেড জোনের সংখ্য ১৮। তালিকায় এর পরে রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে রেড জোনের সংখ্য ১২। এর পর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এখানে রেড জোন ১০টি, অরেঞ্জ ৫টি এবং গ্রিন ৮টি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, “ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানোর জন্য রেড এবং অরেঞ্জ জোনে থাকা কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়াকড়ি চালিয়ে যেতে হবে।”