মুম্বই, ১ জুলাই: 'ব্যস, পেটিএম করো।' সকালে এক সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশিত হয় এবার থেকে MDR-চার্জের টাকা তাদের কাস্টমারদেরই দিতে হবে। যার ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল পেটিএম ব্যবহারীদের। কিন্তু দুপুরের দিকে পেটিএম-র নয়ডার হেডঅফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগের নিয়মই বহাল থাকছে। পেটিএম-র ব্যবহারকারীদের আগের মত কোনও MDR চার্জ দিতে হবে না।
নগদ লেনদনের রমরমার রোখার লক্ষ্যে নোট বন্দির পর পেটিএম গোটা দেশে জনপ্রিয় হয়। দ্রুত অনলাইন এই পেমেন্ট অ্যাপে এখন গোটা দেশের ১৫ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করেন। ডিজিটাল ওয়ালেট সংস্থা পিটিএম-র ওপর নির্ভর করেন বহু ভারতীয়। বড় শহরের পাশাপাশি ছোট শহরে পেটিএম খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আরও পড়ুন- মুম্বইয়ে ব্য়াপক বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন
আসলে পকেট থেকে নগদ টাকা বের করে দেওয়ার চেয়েও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সহজ ও দ্রুততর লেনদনের প্রক্রিয়া এনেই বাজিমাত করেছে পেটিএম (Paytm)। দেশে খুচরো সমস্যারও অনেকেটা সমাধান হয়েছে Paytm-র ফলে।
Paytm-এ এতদিনে পেমেন্টের জন্য আলাদা করে কোনও চার্জ দিতে হত না। কিন্তু এখন মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট (MDR)-র জন্য ব্যাঙ্ক ও কার্ড কোম্পানিগুলি ডিজিটাল লেনদেনের জন্য চার্জ বসায় তা এবার থেকে গ্রাহকদের উপরেই ঠেলে দেবে পিটিএম, এমনটাই খবরে প্রকাশিত হয়েছিল। আজ, সোমবার পয়লা জুলাই থেকেই শুরু হচ্ছে বলে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। এতদিন ডিজিটাল লেনদেনের জন্য যে ক্রেডিট কার্ডের ওপর এক শতাংশ ও Debit কার্ডের ওপর ০.৯ শতাংশ হারে যে MDR-চার্জ হত তা গ্রাহকদের ওপর চাপাতো না Paytm। নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানো, গ্রাহকসংখ্যার বৃদ্ধির জন্য এই কাজ করল পেটিএম। নেট ব্যাঙ্কিং বা UPI-লেনদেনের জন্য ১২-১৫ টাকা চার্জ দিতে হয়। এতদিন যা Paytm গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিত না। কিন্তু এবার সেই চার্জ লাগবে। শেষ অবধি অবশ্য সেই নিয়ম তুলে নেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, গত বছর সরকার নিয়ম করে পেটিএম ও অন্যান্য ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে দিনে দশ বারের বেশি টাকা পাঠানো বা নেওয়া যাবে না। ডিজিটাল ওয়ালেটের এই লেনদেন সংক্রান্ত বিভাগ ন্যাশানাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) অনলাইন ট্রান্জাংশনের দৈনিক লিমিট নির্ধারণ করে দিয়েছিল। যেসব ডিজিটাল ওয়ালেট ইউপিআই মারফত অনলাইন লেনদেন করে তারা এনসিপিআইয়ের এই নিয়ম মেনেই কাজ করবে।