কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Photo Credit: PTI)

নয়া দিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর : দেশভাগই (Partition) আধুনিক ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল। এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Union Minister Jitendra Singh)। তিনি বলেন যে দেশভাগ না হলে আজ জম্মু-কাশ্মীর ((Jammu and Kashmir) নিয়ে কোনও আলোচনা হতো না। নয়া দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দি পরিষদের (Vishwa Hindi Parishad) একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আধুনিক ভারতে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল বিভাজন। গান্ধীজি (Mahatma Gandhi) বলেছিলেন যদি দেশভাগ হয় তবে তা কেবল তাঁর মৃতদেহের উপরেই ঘটবে। তিনি হতাশ হয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে না থেকে বাংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।"

 

জিতেন্দ্র সিং আরও বলেন, "আমরা কি বুঝতে পেরেছি যে কেবল কয়েকটি লোকের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে দেশভাগ হয়েছিল? দেশের একটি বিরাট অংশ দেশভাগের বিরোধিতা করেছিল। যদি সেই বিভাজন না ঘটে থাকতো তবে আজ যেভাবে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা হতো না। তাই ৩৭০ ধারা বা তার প্রত্যাহারের কোনও ইস্যুও থাকতো না। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ইতিহাসের একটি দুর্ঘটনার জন্য আমরা কতটা এগিয়ে বা পিছনে গেছি।" মন্ত্রী আরও বলেন যে দুই দেশের তত্ত্ব, যার ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল তা স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের দিন অর্থহীন প্রমাণিত হয়েছে।" আরও পড়ুন : Sourav Ganguly: সৌরভ গাঙ্গুলি একের বেশি পদে থাকতে পারবেন না, BCCI-কে নির্দেশ এথিক্স অফিসারের

 

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছেছে। কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে গিয়ে মুখ পুড়েছে তাদের। সেই কারণেই তাদের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।

 

নরেন্দ্র মোদি সরকারের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর সীমান্তের উভয় পাড়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাড়ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran khan) গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে পাকিস্তান কাশ্মীরের জনগণকে "মুক্তি" দিতে যে কোনও পদক্ষেপ নেবে। অন্যদিকে, ভারত সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন যে এবার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) পুনর্মিলন করা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Sing) সম্প্রতি বলেন, এবার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হলে কাশ্মীর নয়, শুধুমাত্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হবে।