বিনীত আগরওয়াল সারদা (Photo: ANI)

মেরঠ, ৬ নভেম্বর: দিল্লি ও এবং তার আশপাশের অঞ্চলে উচ্চ মাত্রার দূষণের জন্য পাকিস্তান (Pakistan) ও চিনের (China) ঘাড়ে দোষ চাপালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি (BJP) নেতা বিনীত আগরওয়াল সারদা (Vineet Agarwal Sharda)। তাঁর দাবি, ভারতকে দেখে ঘাবড়ে গিয়ে চিন ও পাকিস্তানই দেশে বিষাক্ত গ্যাস (poisonous gas) ছড়িয়ে দিতে পারে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, "যে বিষাক্ত হাওয়া বইছে, যে বিষাক্ত গ্যাসে ঢেকে গেছে চারিদিক, হতে পারে কোনও পড়শি দেশ ছড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের যারা ভয় পায়, তারাই এই কাজ করে থাকতে পারে। আমার তো মনে হয় চিন এবং পাকিস্তানই আমাদের ভয় পায়।" তিনি আরও যোগ করেন, "পাকিস্তান কোনও বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিয়েছে কি না তা আমাদের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।"

সারদা আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তান হতাশ হয়ে যায়। এবং ভারতের বিরুদ্ধে কোনও যুদ্ধে জিততে না না পারার কারণে তারা সব ধরণের কৌশল অবলম্বন করেছে।" তিনি বলেন, "পাকিস্তান যখনই ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তখনই হেরেছে। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ আসার পর থেকে পাকিস্তান আরও হতাশ হয়ে পড়েছে।" আরও পড়ুন: Mid-Day Meal Horror: ফের মিড-ডে মিল আতঙ্ক, হাসপাতালে ভর্তি কর্ণাটকের ৬০ স্কুল পড়ুয়া

দিল্লির এই পরিস্থিতির জন্য শুরু থেকেই পড়শি দুই রাজ্য হরিয়ানা এবং পঞ্জাবকে দায়ী করে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই দুই রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোতেই গোটা দিল্লি ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। কিন্তু তা মানতে রাজি নন বিনীত। তিনি বলেন, কৃষকরা দেশের মেরুদণ্ড, তাদের এ ভাবে দোষারোপ করা উচিত নয়। তিনি বলেন, "দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ অন্যরা বলেছেন ফসলের গোড়া পোড়ানো বা কল-কারখানা থেকে ধোঁয়া নির্গমনের ফলে দূষণ হয়। কৃষকরা আমাদের দেশের মেরুদণ্ড। কৃষক ও শিল্পকে দোষ দেওয়া উচিত নয়।" বিজেপি নেতার আরও দাবি, দুই নেতা নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ হলেন ভগবান কৃষ্ণ এবং অর্জুন। তাঁরা সমস্ত সমস্যা সমাধানে সক্ষম। বলেন, "এটি কৃষ্ণ ও অর্জুনের সময়। কৃষ্ণরূপে মোদি এবং অর্জুনের চরিত্রে অমিত শাহ একসঙ্গে সব সমস্যার সমাধান করবেন।"

এদিকে জোড়-বিজোড় নীতির তৃতীয় দিনেও রাজধানীর দূষণ দশ বেহালই বলা যেতে পারে। অন্তত লোধী রোডের এই দূষণ চিত্র তারই প্রমাণ বয়ে নিয়ে চলেছে। ইন্ডিয়া গেট-সহ রাজধানীর আকাশ ঢেকে রেখেছে ধোঁয়ার আস্তরণ। সবমিলিয়ে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে অস্বাস্থ্যকর বিভাগেই পড়ছে রাজধানীর দূষণ মাত্রা। যদিও গতকাল পর্যবেক্ষকদের দাবি অনুযায়ী, সামান্য হলেও দিল্লির বাতাসে দূষণের (Delhi Air Quality) পরিমাণ কিছুটা কমেছিল। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স রিপোর্ট (AQI) বলছে, গতকাল বেলা আড়াইটের সময় দূষণ মাত্রা ছিল ৫০০। রাত দশটা নাগাদ তা কমে হয় ৪১৩। লোধী রোডের যখন এমন বেহাল দশা তখন রাজধানীর বাকি অংশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম।

গুরুগ্রামের (Gurugram) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। তবে এ দৃশ্য নতুন কিছু নয়। গত তিন বছর ধরে এই সময়টায় রাজধানীর বায়ু দূষণ মাত্রা বিপদ সীমার উপরে বইতে থাকে। দূষণের চাপে রাজপথের দৃশ্যমানতা কমে আসে। সাত সকালে রেল, সড়ক ও বিমান পরিবহণ একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার এই জোড়-বিজোড় নীতির গাড়ি নিয়েই গোল বেঁধেছিল। রাস্তায় বিজোড় নম্বরের গাড়ি বের করে ট্রাফিক আইন ভেঙে ফেলেন বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল। তিনি তো নিজের দোষ মানতেই চাননি। উল্টে আপ সরকারকে তুলোধনা করে বলেন, এই যখন দূষণ কমানোর পন্থা তাহলে প্রতিবেশী রাজ্যের কৃষকদের কেন দায়ী করা হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয় স্বচ্ছন্দে জরিমানাও দিতে রাজি হয়ে যান বিজয় গোয়েল