দিল্লি, ৩০ আগস্ট: আর্থিক দুর্নীতি মামলার গ্রেপ্তারি থেকে রেহাই পেতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন পি চিদম্বরম। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানির সময় ইডি-র আইনজীবী তুষার মেহতা নতুন তথ্য পেশ করেন। তিনি পি চিদম্বরমের মামলার সঙ্গে বিতর্কিত ইসলাম ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক ও মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তাঁর মতে পি চিদম্বরম ইডি-র হাতে গ্রেপ্তারি এড়াতে যে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করেছেন তার সঙ্গেই হাফিজ সইদ ও জাকির নায়েকের যোগসূত্র রয়েছে। আর বিষয়টির বিশদ তথ্য এখন ইডি-র হাতে এসেছে। যা গোপনে দেশের শীর্ষ আদালতকে জানাতে চায় এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তাঁর বিরুদ্ধে গোপন তথ্য খামবন্দি করে সুপ্রিম কোর্টকে দিতে চান তুষার মেহতা (Tushar Mehta), একথা জানার পরই তীব্র বিরোধিতা করেন পি চিদম্বরম। এই সময় বাদি বিবাদি পক্ষের মধ্যে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটিও হয়। তখন ইডির আইনজীবী বলেছিলেন যদি প্রবীণ কংগ্রেস নেতার আপত্তিকে আদালত গ্রাহ্য করে তবে তা ভুল নজির তৈরি করবে। এদিন বিচাপতি আর ভানুমতি ও এস বোপান্নার বে়ঞ্চে প্রসঙ্গটি তুলে আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, আদালত বার বার পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) জামিনের আবেদন গ্রহণ করে আসলে বড় বড় অপরাধীকে ছাড় পাইয়ে দিচ্ছে। চিদম্বরমের এই আবেদন থেকেই সুযোগ পেয়ে যেতে পারে জাকির নায়েক, হাফিজ সইদের মতো অপরাধীরা। আসলে চিদম্বরমের এই আগাম জামিনের আবেদনরে বিষয়টি কাজে লাগিয়ে জেলের বাইরে ঘোরার সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ফেঁসে দেশত্যাগী হওয়া বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি, নীরব মোদির মতো লোকজন। সুযোগ নিতে পারে হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) মতো জঙ্গি নেতা ও বিতর্কিত ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Naik) ও। আরও পড়ুন-‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা নীতি’ ব্যর্থ, প্রথম মোদি সরকারের আমলেই ৭১,৫৪৩ কোটির ব্যাংক জালিয়াতি হয়েছে, রিপোর্ট দিল রিজার্ভ ব্যাংক
তুষার মেহতা আরও জানান যে, জ্ঞান, বিদ্যাবুদ্ধি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে পি চিদম্বরম একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। যদি তাঁর অপরাধের বিবিধ প্রমাণ তাংরই চোখের সামনে সরবরাহ হয় তাহলে তা দেখে ফের নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের রাস্তা তিনি যেনতেন প্রকারেণ বের করে নেবেন। ২০০৭ সালে অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ই আইএনএক্স মিডিয়ার আর্থিক অসঙ্গতির কেসে জড়িয়ে পড়েন পি চিদম্বরম। আইএনএক্স মিডিয়ার (INX Media Case) জন্য যে ৩৫০ কোটির বিদেশী অর্থ সেই সময় অর্থমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছিলেন তা বাবদ তাঁরই ছেলে কার্তি (Karti Chidambaram) বড় অংকের টাকা কিকব্যাক পান। সেই টাকা কে কেন এবং কতটা দিয়েছিল তাই জানতেই ইডি তদন্ত শুরু করেছে।