নয়াদিল্লি, ১৪ মে: লকডাউন পরবর্তী সময়ে কীভাবে চলবে রাজ্য? লকডাউন ৪.০-এ (Lockdown 4.0) আমজনতার প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে স্থির করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই জনতার রায় জানতে মেল এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে জানার চেষ্টা করেছিলেন সাধারণ মানুষের দাবি। সেই মেল-হোয়াটসঅ্যাপেই জমা পড়েছে ৫ লাখের বেশি মতামত। প্রত্যেকের মতামতই খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে কেন্দ্রকে ব্লু প্রিন্ট জমা দেবে কেজরিওয়াল সরকার (Arvind Kejriwal)।
সূত্রের খবর, ‘জনতার রায়ে’ প্রাধান্য পেয়েছে বাস পরিষেবা চালু করার বিষয়টি। নয়াদিল্লির মধ্যেই এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়ার জন্য বাস পরিষেবা চালু করার দাবি করেন সাধারণ মানুষ। তবে, তাতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রস্তাব দিয়েছে জনধারণ। পাশাপাশি, স্কুল, কলেজ, স্পা, শপিং মল, সুইমিং পুল ইত্যাদিও বন্ধ রাখার মত জানিয়েছেন তাঁরা। আমজনতার বক্তব্য, যতদিন না করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমছে ততদিন বন্ধ থাক- স্কুল, কলেজ, স্পা। যদি কোনও দিল্লিবাসী মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোন কিংবা সুরক্ষাবিধি না মানেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন সাধারণ মানুষ। আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: লকডাউন পরবর্তী সময়ে কীভাবে চলবে রাজ্য? ঠিক করবে 'জনতার রায়'
এ প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, “আমরা প্রচুর মতামত পেয়েছি আমজনতার কাছ থেকে। মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকরাও তাদের মতামত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ৫০ শতাংশ হারে দোকান-পাট খোলা হবে।” বৃহস্পতিবার বিকেলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেজরিওয়াল। আমজনতার মতামতের উপর ভিত্তি করে কী কী বিষয়ে ছাড় দেওয়া যায়, সে সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ভাষণেই লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মোদি। তবে, ১৭ মে-র পর লকডাউন ৪.০ কতদিনের জন্য বাড়ানো হবে। সেই সংক্রান্ত স্পষ্ট তথ্য এখনও পর্যন্ত মেলেনি।