
দিল্লি, ৭ মে: গত ২২ এপ্রিল ২৫ ভারতীয় (Indian Army) এবং ১ নেপালি নাগরিককে হত্যা করে জঙ্গিরা। পহেলগামের (Pahalgam Terror Attack) হামলা জম্মু কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) বিভক্ত করার জন্য করা হয়। গত বছর ২ কোটির বেশি পর্যটক ভারতে যান। তাই জম্মু কাশ্মীরে যাতে পর্যটকরা যেতে না পারেন, সেই প্রচেষ্টা চালানো হয়। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশে চালানো হয় পহেলগামের হামলা। পাকিস্তান এবং জঙ্গিদের সেই হামলার যোগ্য জবাব এবার দেওয়া হয়েছে। অপারেশনব সিদূঁরের পর এমনই জানানো হল দিল্লির তরফে।
অপারেশন সিদূঁরের পর যে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেখানে জানানো হয়, লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন টিআরএফের তরফে এই হামলা চালানো হয়। এর আগেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে টিআরএফের বিষয়ে ভারতের তরফে চিন্তা প্রকাশ করা হয়। পহেলগাম হামলায় যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে, তা প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক এজেন্সির তরফে টিআরএফের এই হামলার পর থেকে পাকিস্তানের হাত রয়েছে কি না, তা খোঁজার চেষ্টা করা হয়।
পাকিস্তানের মদতেই এই জঙ্গিরা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। কুখ্যাত জঙ্গি সাজিদ মীরকে যখন মৃত বলে ঘোষণা করে পাকিস্তান, সেই সময় তাকে জীবিত অবস্থায় দেখা যায়। এর দ্বারাই প্রমাণিত, পাকিস্তান কীভাবে জঙ্গিদের নিজেদের ছত্রছায়ায় লুকিয়ে রাখে।
২২ এপ্রিল পহেলগামে যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের যাতে প্রকাশ্যে আনা যায়, সেই চেষ্টা চালানো হয়েছে। সবকিছু জেনেবুঝেও পাকিস্তান ২২ এপ্রিলের ঘটনার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সব সময় পাকিস্তান জঙ্গিদের লুকিয়ে রেখেছে। ভারত এই ধরনের সীমান্ত সন্ত্রাসের জবাব স্পষ্টভাবে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের যাতে কোনওভাবে রেয়াত করা না যায়, তার জন্যই ভারত পদক্ষেপ করেছে বায়ুসেনা এবং সেনা বাহিনী।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে যে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা, তা প্রকাশ্যে এসেছে। তাই অপারেশন সিদূঁরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় ভারতের তরফে। পাশাপাশি অপারেশন সিদূঁরের মাধ্যমে যে হানাদারি চালানো হয়েছে, সেখানে কোনও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি বলেও জানানো হয় দিল্লির তরফে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোনও হামলা হয়নি বলেও জানানো হল আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে।