প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

শ্রীনগর, ১২ নভেম্বর: মঙ্গলবার সাত সকালেই সেনার গুলিতে নিকেশ পাক জঙ্গি। একদিন আগেই উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরায় দুই জঙ্গিকে কাবু করতে পেরেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এবার লাগোয়া গান্ডেরবাল জেলায় চিরুনী তল্লাশি শুরু হলে সেনার গুলিতে খতম হল এক জঙ্গি। সিআরপিএফ, সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) পুলিশের যৌথ অভিযানেই মারা পড়েছে ওই জঙ্গি। তবে সে কোন জঙ্গি দলের সদস্য তা এখনও জানা যায়নি। শ্রীনগর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে গান্ডেরবাল জেলার গুন্দ গ্রাম। মঙ্গলবার কাকভোরে সেখানেই জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়ে একযোগে অভিযান শুরু করে পুলিশ, সিআরপিএফ (CRPF)ও সেনা। পরে কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক জঙ্গি নিকেশের খবর নিশ্চিত করা হয়।

উল্লেখ্য, জঙ্গি নিকেশের খবর এলেও এখনও গোটা এলাকাটা ঘিরে রেখে চলছে তল্লাশি। শীত শুরু আগেভাগেই সংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক জঙ্গিরা। তবে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই একের পর হামলা ও অনুপ্রবেশের কারণে গোয়েন্দা দপ্তর থেকে সেনা প্রতিটি দপ্তর সতর্ক থাকায় সীমান্তে অনুপ্রবেশের কাজে এঁটে উঠতে পারেনি পাক জঙ্গিরা। তবে শীতকালে যাতে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দৌড়াত্মে গোটা উপত্যকা তটস্থ থাকে তার বন্দোবস্তের পরিকল্পনা সেরেছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিরা। তবে এটাই শুরু নয়, বেশ কয়েকমাস ধরেই উপত্যকা জুড়ে নেমে এসেছে বিপর্যয়। একের পর এক অনুপ্রবেশ ও নাশকতা। সীমান্তের ওপার থেকে বার বার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি বর্ষণ, কিছুই বাদ যায়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হানার ঘটনায় একই সঙ্গে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু এযাবৎ কালে সব থেকে বড় নাশকতা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: পাঞ্জাবের খড় পোড়ানোর জের, ফের দূষণ জ্বরে অন্ধকার রাজধানী

গত ৫ আগস্ট উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কেন্দ্র। তারপর থেকেই পাকিস্তান দিল্লির উরে বেজায় ক্ষিপ্ত। ইমরান খান তো ফের পুলওয়ামার ধাঁচে হামলার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন। কখনও সীমান্তে সেনা তৎপরতা বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, কখনও বা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও যাবতীয় অস্ত্র সাহায্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে।