সেনা জওয়ানদের ফাইল ছবি (Photo Credits: IANS)

শ্রীনগর, ১৭ আগস্ট: স্বাধীনতা দিবসের দুদিন পরেই ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। সোমবার জঙ্গির গুলিতে নিহত হলেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান ও একজন জম্মু কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অফিসার। সোমবার সকালে নাশকতার (Terror Attack) ঘটনাটি ঘটে উপত্যাকার বারামুলা জেলায়। ঘটনাস্থলেই ওই স্পেশ্যাল অফিসারের প্রাণ যায়। ততক্ষণে জঙ্গিদের গুরুতর আহত হয়েছেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁরা প্রাণ হারান। জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ টিম স্থানীয় ক্রিরি চেক পোস্টের কাছে ডিউটি করছিল। পুলিশের আই জি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আমরা জঙ্গি হানায় তিন জওয়ানকে হারিয়েছি। ঘটনাস্থলে বাড়তি ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এসম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে পরে।

এএনআই-এর  টুইট

এর পরেই কাশ্মীর জোনের পুলিশ টুইটারে জানায়, “বারামুলার ক্রিরি অঞ্চলে পুলিশ ও সিআরপিএফের একটি যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। দুই সিআরপিএফ জওয়ান ও এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি চলছে।” এদিন বারামুলার ওই ক্রিরি এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়েই সিআরপিএফ ও বিশেষ পুলিশ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। ধরা পড়ার আশঙ্কায় সেনা পুলিশকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গির দল। এর আগে গত ১৪ অগস্ট শ্রীনগরের কাছে নওগামে পুলিশের একটি কনভয়ের উপর হামলা চালায় জইশ জঙ্গিদের একটি দল। ওই ঘটনায় দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হন আরও একজন পুলিশকর্মী। পুলিশের একটি কনভয়কে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা গুলি চালায় পুলিশও। দু’পক্ষের গুলিবিনিময়ে জখম হন তিনজন পুলিশকর্মী। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিত্‍‌সা চলাকালীন দু’জন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আরও পড়ুন-Samaresh Das Dies: করোনাভাইরাসের থাবা, প্রয়াত এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস

কাশ্মীর জোন পুলিশের টুইট

কাশ্মীরে গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে তিনবার নিরাপত্তারক্ষীরা জঙ্গি হানার মুখে পড়লেন। গত ১২ আগস্ট শ্রীনগর-বারামুলা হাইওয়ের উপরে হায়গাম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর এক কুইক রিঅ্যাকশান টিমকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি ছোঁড়ে। এক সেনা জওয়ান আহত হন। গত ৬ অগাস্ট সকালে কুলগাম জেলার কাজিগুন্দ এলাকায় বিজেপির গ্রামপ্রধানকে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন কুলগাম জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি সাজ্জাদ। বাড়ির বাইরেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সাজ্জাদের গুলি লাগার পরেই জঙ্গিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।