বাবরি মসজিদ (Photo Credits: IANS)

অযোধ্যা, ৪ নভেম্বর: সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) দেবদেবীদের (Deities) নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা জারি করল যোগী সরকার (Yogi Government)। অত্যন্ত স্পর্শকাতর অযোধ্যা মামলায় অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর যোগী সরকার। রায়দানের আগেই তাই জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা। সাফ বলা হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন দেবদেবী বা মনীষীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য (Comment) করা যাবে না।

কিন্তু কেন এমন নির্দেশিকা জারি করা হল? চলতি মাসেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলায় রায়দানের কথা। আগামী ১৭ নভেম্বরের অবসর নেবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ (Ranjan Gogoi)। তার আগেই এই মামলায় শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, আসন্ন রায়দান নিয়ে অযোধ্যা সহ গোটা দেশেই রয়েছে চাপা উত্তেজনা। এমন পরিস্থিততে, গত ৩১ অক্টোবর চারপাতার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেন অযোধ্যার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা (Anuj Kumar Jha)। সেখানে বলা হয়েছে দেবদেবী বা মনীষীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে কোনরকম বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। বিনা অনুমতিতে অযোধ্যায় কোন তর্ক বা আলোচনা চক্রের আয়োজন করতে পারবে না কোন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম। পাশাপাশি, ওই নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্থানের পাশে মদ বিক্রি চলবে না। শহরে সরকারি আধিকারিক ছাড়া কেউ অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। এর অন্যথা হলে দোষীদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা অনুসারে শাস্তি দেওয়া হবে দোষীকে। আরও পড়ুন: Daily Work Hours Extention: আর ৮ ঘণ্টা নয়, এবার থেকে ৯ ঘণ্টার হয়ে যাবে দৈনিক কাজের সময়! শীঘ্রই দেশে এমন আইন আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার

গত মাসেই ‘মন কি বাত’অনুষ্ঠানে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে দেশকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দিয়ে বলে, বিতর্কিত কাঠামোকে তিন ভাগে বিভক্ত করার কথা। এক ভাগ পায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। বাকি দুই ভাগ দেওয়া হয় নির্মোহী আখাড়া এবং রাম লালা কমিটিকে। কাঠামোর কর্তৃত্ব যায় হিন্দুদের দখলে। মুসলিমদের হয়ে এক আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান। সে বছরের ডিসেম্বরে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।