নতুন দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি: রবিবার মধ্যরাতেই গুলি চলেছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর গেটের বাইরে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় দিল্লি পুলিশ। সোমবার সকালে দিল্লি পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গুলি চললেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় খালি কার্তুজের কোনও খোল মেলেনি। তবে তদন্ত এখনও চলছে। দিল্লি পুলিশের তরফে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে কার্তুজের খোল না মিললেও তদন্ত চলছে। জামিয়া মিলিয়ার তরফে পাওয়া তথ্য বলছে, স্কুটিতে আসা দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর গেটের বাইরে গুলি চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র সুয়াস ত্রিপাঠী জানান, লাল রঙের স্কুটিতে চেপে শাহিন বাগের দিক থেকে এসেছিল ওই দুজন। মাত্র দু কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত শাহিন বাগ।
এই গুলি চালনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামিয়া নগর থানার বাইরে ভিড় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁরা এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করতে চান। তবে গুলি চালনার ঘটনাকে মানতে নারাজ পুলিশ। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে। জামিয়া নগর থানার এসিপি জগদীশ যাদব জানিয়েছেন, “পড়ুয়াদের বিবৃতি রেকর্ড করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডিবিধির ৩০৭ ও ৩৪ ধারা এবং সেকশন সাতাশের অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।” অভিযোগ দায়েরের পর জামিয়া নগর থানা থেকে ফিরেছে পড়ুয়াদের দলটি। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনার আগের দিনই শাহিন বাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলন ক্ষেত্রে ২ বার গুলি চালায় এক অভিযুক্ত। আর তিনদিন আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার উপরেই পুলিশের চোখের সামনে গুলি চালিয়েছিল রামভক্ত গোপাল শর্মা। সেই ঘটনায় জামিয়ার এক পড়ুয়া আক্রান্ত হলেও গতকাল ও শাহিনবাগের গুলি চালনায় কেউ আহত হননি। আরও পড়ুন-Delhi: শাহিন বাগের পর ফের জামিয়া, মধ্যরাতেই ৫ নম্বর গেটে চলল গুলি
উল্লেখ্য, রাজধানীতে রাতের অন্ধকারের ফের চলল গুলি। আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু অবশ্যই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা (Jamia Milia Islamia University) । তবে সুখের বিষয় গুলি চললেও তা থেকে পড়ুয়ারা কেউ আহত হননি। মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে। স্কুটিতে চড়ে এসে দুজন গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে খবর। বিশ্ববিদ্যালয় কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় এই দুষ্কৃতীদের একজনের পরণে ছিল লালা রঙের জ্যাকেট। খবর পেয়েই ওসি-র নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ নম্বর গেট এবং তার পার্শবর্তী এলাকায় তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও কোনও কার্তুজের খোল মেলেনি। এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। তবে JCC-র অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।