নতুন দিল্লি, ১৭ মার্চ: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আগামী শুক্রবার নির্ভয়ার চার ধর্ষক খুনির ফাঁসির দিন নির্দিষ্ট হয়েছে। ওদিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি উপলক্ষে ইতিমধ্যেই পবন জল্লাদকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ডেকে পাঠিয়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। আর সুযোগ বুঝে ফের ফাঁসির সাজা রদ করতে উঠেপড়ে লেগেছে খুনিদের আইনজীবী এপি সিং। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ফাঁসি থেকে বাঁচতে আর কোনও আইনি সাহায্য ব্যবহার করতে পারবে না চার ধর্ষক। এরপরই নতুন উদ্যমে আবেদন করে এপি সিং। তার দাবি ঘটনার দিন দিল্লিতেই ছিল না মক্কেল মুকেশ সিং (Mukesh Singh)। সে রাজস্থানে ছিল, পুলিশ তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এবং তিহাড়ে সে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার।
শোনা যাচ্চে এই আবেদনের রায় মঙ্গলবার বেরবে। সরকার পক্ষের আইনজীবীর মতে ফাঁসির সাজা আচকাতে নয়া নাটক শুরু করেছে মুকেশ সিং ও তার আইনজীবী। অন্দিকে ফাঁসি স্থগিত করতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, পবন, অক্ষয় ও বিনয় শর্মা। তিনবার ফাঁসির তারিখ পিছনোর পর অবশেষে আগামী ২০ মার্চ, শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়, দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা ২০১২ দিল্লি গণধর্ষণ মামলার চার জন আসামির। কিন্তু যেনতেনপ্রকারে যেন ফাঁসি এড়াতে মরিয়া নির্ভয়ার অপরাধীরা। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে দোষীদের শেষতম কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে দোষীদের আইনজীবী এপি সিং নাকি বলেছিলেন, এবার আর আদালতের ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষেত্রে বাধা নেই। আরও পড়ুন- Coronavirus Vaccine: কোভিড-১৯ আতঙ্কের মাঝেই সিয়াটেলে প্রথম করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ
ইতিহাসে নজিরবিহীন ভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছিল তিন অপরাধী। এর আগে দেশের কোনও ধর্ষক ফাঁসি রদের দাবিতে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বলে খবর নেই। তবে নির্ভয়ার তিন ধর্ষক আন্তর্জাতিক আদালতে গেলেও, চতুর্থ অপরাধী মুকেশ কেন এই পথে হাঁটল না, তা নিয়ে ধন্দ শুরু হয়েই গিয়েছিল আইন-মহলে। মঙ্গলবার সেটাই স্পষ্ট হল। ঘটনার রাতে সে নাকি দিল্লিতেই ছিল না, এমনই দাবি করা হয়েছে।