ফাইল ফোটো (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) দোষীসাব্যস্তদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল। আজ তার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা (Vinay Sharma) রাষ্ট্রপতির কাছে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করেছিল। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে (Rashtrapati Bhavan) পাঠানো ফাইলে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিনয় শর্মার ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট বিনয়সহ ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়।

এদিকে বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করলেও তখন আরেক অপরাধী মুকেশ তা করেনি। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আদালতের রায় সে মেনে নিয়েছে। তৃতীয় আসামি রাম সিং আগেই আত্মহত্যা করেছে। চতুর্থ আসামি অক্ষয় ঠাকুর এখনও পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আবেদন বা রায় পুনবির্বেচনার আবেদন করেনি। এর আগে বিনয় শর্মার আবেদন খারিজ করে দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল (Anil Baijal)। দিল্লি সরকারের পরামর্শেই আবেদন তিনি খারিজ করেন। আরও পড়ুন:  President Ram Nath Kovind: পকসো আইনে দোষী সাব্যস্তরা যেন ক্ষমা ভিক্ষার সুযোগ না পায়, বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

আজ একটি অনুষ্ঠানে পকসো আইনে দোষী সাব্যস্তদের কঠিন সাজার বিষয়ে সহমত পোষণ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাত কোবিন্দ। পকসো আইনের আওতায় দোষীরা (convicted under POCSO Act) যেন ক্ষমা ভিক্ষার (mercy petition) সুযোগ না পায়, রাজস্থানের সিরোহিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাই বললেন রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। এমনই একটা সময় রাষ্ট্রপতির বক্তব্য প্রকাশ্যে এল যখন উন্নাও থেকে শুরু করে নির্ভয়া, মুম্বই, মধ্যপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, একের পর এক নারকীয় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে দেশজুড়ে হইচই পড়েছে।

২০১২ সালে দিল্লির একটি বাসে তরুণীকে ধর্ষণ এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার বিভত্সতায় শিহরিত হয় গোটা দেশ। নির্ভয়া কাণ্ডে পুনরাবৃত্তি দেখা যায় হায়দরাবাদে। পশুচিকিত্সককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। শুক্রবার সকালে তেলঙ্গানা পুলিসের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তাদের।