নয়াদিল্লিঃ তরুণ তুর্কিদের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে নেপাল সরকার(Nepal Government) । সমাজমাধ্যমের (Social Media) উপর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যেই যুব সম্প্রদায়কে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং। সোমবারের বিক্ষোভের পর মঙ্গল সকালে থমথমে কাঠমান্ডু। এলাকায় এলাকার জারি কার্ফু । বন্ধ দোকানপাট। রাস্তাঘাটে হাতেগোনা লোকজন। তবে নতুন করে আর অশান্তির খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ২৬ টি সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নেপাল সরকার। আর এর প্রতিবাদে গতকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সেদেশের ছাত্র-যুবরা। অবরোধ করা হয় সড়ক। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবিতে গলা তোলেন বিক্ষোভকারীরা। হামলা চালানো হয় প্রধানমন্ত্রীর পৈতৃক ভিটেতে। চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। এদিনের বিক্ষোভের জেরে মোট ১৮ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত ২৫০-এর বেশি। সোমবার বিক্ষোভ ছড়াতে থাকলে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এরপরই সমাজমাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের তরফে।
সমাজমাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলেছে নেপাল সরকার, মঙ্গল সকালেও থমথমে কাঠমান্ডু, জারি কার্ফু
#WATCH | Nepal: Visuals from Kathmandu this morning, after the massive protest against the government over alleged corruption and the recent ban on social media platforms. A curfew has been imposed here
As per the Nepal Govt, at least 18 people died and more than 250 people… pic.twitter.com/xg852JRy1g
— ANI (@ANI) September 9, 2025