উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) মাঞ্জা দেওয়া নাইলনের সুতোর পর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে দেদার বিক্রি চলছে তা। নাইলনের সুতো গলায় পেঁচিয়ে সেরাজ্যে মৃত্যু হয়েছে বহু স্কুটি এবং বাইক চালকের। মৃত্যুর মুখ থেকেও আবার ফিরে এসেছেন অনেকে। সদ্য এক স্কুটি চালকের গলায় পেঁচিয়ে যায় নাইলন সুতো। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তাঁর গলা। পরিবারের সদস্য মিলে তাঁকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। গলায় চারখানা সেলাই পড়ে তাঁর। এরপরেই ওই ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশ জেলা আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন বাজারে বিক্রি হবে নাইলনের মাঞ্জা দেওয়া সুতো!
আরও পড়ুনঃ স্বামীকে খুন করে বস্তাবন্দি মৃতদেহ ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলল মদ্যপ স্ত্রী
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর, আলহবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court) উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দেয়, সে রাঝ্যে নাইলনের মাঞ্জা দেওয়া ঘুড়ির সুতোর ব্যবহার পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ। রাজ্যের প্রতিটি জেলা আধিকারিকদের আলহবাদ হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিতে বলা হয়েছিল। জেলার কোন ব্যক্তিকে যদি মাঞ্জা দেওয়া নাইলন সুতো বিক্রি করতে দেখা যায় তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে দেদার বিক্রি চলছে মাঞ্জা দেওয়া নাইলনের সুতো। যা অনায়াসে প্রাণ কাড়ছে সাধারণ মানুষের।