ফাইল ফটো

বুদাউন, ২৪ মেঃ স্ত্রীর গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা যাচাই করার জন্যে কাস্তে দিয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর গর্ভ কাটলেন স্বামী। ঘটনায় মহিলার প্রাণ বেঁচে গেলেও, বাঁচানো যায়নি তাঁর গর্ভের আট মাসের সন্তানকে। ২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুদাউন জেলার সিভিল লাইন এলাকার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সৌরভ সাক্সেনা অভিযুক্ত পান্না লালকে (৪৬) দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন হাজতবাসের রায় দিয়েছেন।

কী ঘটেছিল চার বছর আগে?

পরপর পাঁচটি কন্যা সন্তান তাই ছেলের কামনায় ষষ্ঠবার সন্তান ধারন করেছিলেন পান্না লালের স্ত্রী অনিতা। এদিকে গ্রামের এক জ্যোতিষের কাছে স্ত্রীর ছেলে হবে নাকি মেয়ে তা জানতে গিয়ে ওই জ্যোতিষ পান্না লালকে জানান, তাঁর ষষ্ঠ সন্তানও মেয়ে। আবারও কন্যা সন্তান চাননি পান্না। তাই স্ত্রীকে গর্ভপাতের জন্যে জোর করেন তিনি। কিন্তু অনিতা স্বামীর প্রস্তাবে রাজি হননি। গর্ভের সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে, রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। স্ত্রী গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পান্না লাল স্ত্রী অনিতার গর্ভের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে তা যাচাই করার জন্যে কাস্তে দিয়ে তাঁর গর্ভে কোপ বসান। সেই সময় অনিতা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাড়ির মধ্যে রক্তারক্তি কাণ্ড। তড়িঘড়ি অনিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় মহিলা প্রাণে বাঁচলেও, বাঁচানো যায়নি তাঁর গর্ভের পুত্র সন্তানকে।

অভিযুক্ত পান্না লালকে গ্রেফতারের পর ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩১৩ (মহিলার অনুমতি ব্যতিত তাঁর গর্ভপাত করানো) ধারায় মামলা রজু করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় অভিযুক্ত পান্না লালকে দোষী সাবস্য করে বৃহস্পতিবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।