আলিগড়, ২৭ আগস্ট: ল্যান্ডিংয়ের সময় ভেঙে পড়ল বিমান, একটুর জন্য এড়ানো গেল বড়সড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। সেখানে এক শষ্যের ক্ষেতেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তও শুরু হয়েছে। এক কথায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে ঘটতে রক্ষা পাওয়া গেল। এমনিতেই বিমান দুর্ঘটনার পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আজ সকলেরই জানা। এদিনের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি দিল্লি থেকে উড়েছিল। গন্তব্য ছিল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়েই। কাছাকাছি এসে মাঠের মাঝখানে আচমকাই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
জানা গিয়েছে, এটি একটি ব্যক্তিগত বিমান। পাইলট-সহ ৬ জন লোক ছিলেন বিমানে। মূলত আলিগড়ে বিমানটির সার্ভিসিংয়ের বন্দোবস্ত ছিল, এখানে আসার হেতু এটাই। এমনিতে দুর্ঘটনার কোনও কারণ ছিল না, অবতরণের সময় আচমকাই হাইটেনশনের তার জড়িয়ে যায় বিমানের একটি চাকায়। তা থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাপ্রবাহ ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারত ভাগ্যের জোরে তেমন কিছুই ঘটেনি। দুর্ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থেল পৌঁছায় পুলিশ ও স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি বিমানের পেট থেকে পাইলটও বাকিদের বের করে আনা হয়। যাত্রীদের কয়েকজনের সামান্য চোট লাগলেও আঘাত গুরুতর নয়। এই প্রসঙ্গে আলিগড়ের ম্যাজিস্ট্রেট জানান, একটি ব্যক্তিগত বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। বিমানের ভিতরে ৬ জন ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। আরও পড়ুন-বিনা টিকিটের যাত্রীরাই লক্ষ্মী, জরিমানা থেকে ৩ বছরে ১৩০০ কোটি টাকা আয় রেলের
Trainer aircraft VT-AVV crashes at #Aligarh Dhanipur airstrip, no injuries reported. City Magistrate, says, " 6 people were on-board the aircraft when it crashed after one of its wheels got stuck in a wire during landing. All 6 people are safe with no injuries." pic.twitter.com/jBHrWmrbHQ
— ANI UP (@ANINewsUP) August 27, 2019
কিছুদিন আগে রাশিয়াতে সিগালের তাড়া খেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে বিমান। দুর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়েই ভুট্টা ক্ষেতে বিমান অবতরণ করান চালক। এর আগে উড়ানের সময় রানওয়েতে আগুন ধরে যায় বিমানের চাকাতে। তড়িঘড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিকে অবতরণ করান পাইলট। আগুনের গ্রাসে ততক্ষণে গোটা বিমান। তারপরেও নির্বিঘ্নে যাত্রীদের বিমানের বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়। এই ঘটনায় পাইলটের বুদ্ধির তারিফ করেছিলেন সকলে। আগুনের তাপে বেশ কয়েকজন আহত হলেও কারওর আঘাতই গুরুতর ছিল না। কোনও প্রাণহানিও ঘটেনি।