বর্ষা (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৮ মে: নিয়ম মেনে এবার ১ জুনেই বর্ষা (Monsoon 2020) আসছে কেরালায়। বৃহস্পতিবার দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে এই খবর মিলেছে। চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূল থাকার দরুণ দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমিবায়ু ১ জুনেই কেরালায় প্রবেশ করছে। বর্ষা সময়ে আসার কারণ ৪ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবিদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণ পূর্ব এবং পূর্ব মধ্য আরব সাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে আগামী ৩১ মে থেকেই কেরালায় নামতে চলেছে মরশুমী বর্ষা। কেরালায় বর্ষা এবার আগেই আসতো, আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই তার কেরালায় পৌঁছাতে সময় লেগে গেল।

জানা গিয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মালদ্বিপের উপরে মেঘের ঘনঘটনা থাকবে। বাদ পড়বে না আন্দামানের সমুদ্র এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বিপপুঞ্জ। বঙ্গোপসাগরের  উপরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় থাকাতেই বৃষ্টির আগাম আভাস মিলল। এদিকে সন্ধ্যার কালবৈশাখীর পর রাতভর চলল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবারের সকালে দেখে মনে হতে পারে জৈষ্ঠ নয়, আষাঢ় চলছে। সকাল সকাল ছটা থেকে সাতটা নাগাদ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির পর বেগ কিছুটা কমলেও মেঘের গুরুগর্জন চলছেই। এদিকে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও কাটেনি। তারমধ্যে সেই বুধবারেই কালবৈশাখীর দাপটে ত্রস্ত বাংলা (West Bengal)। দক্ষিণবঙ্গ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলির আরামবাগে গাছ পড়ে মারা গিয়েছেন লালমোহন রায়গুপ্ত(৪০)। এই ঘটনায় ২ জন আহতও হয়েছেন। অন্যদিকে দুর্গাপুরের মাধাইপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বছর ৪০-এর গোপাল যাদবের। বুধবার রাতে কলকাতায় কালবৈশাখীর গতিবেগ ছিল ৯৬ কিলোমিটার। খুব বেশি সময় সেই ঝড় স্থায়ী না হলেও ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রেখে গেছে। আরও পড়ুন-Jammu &Kashmir: পুলওয়ামার ধাঁচে জঙ্গি নাশকতা রুখে দিল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ, উদ্ধার বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি

এদিনের ঝড়ে কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, শরৎ বসু রোড এবং লেক রোডের সংযোগস্থল, বেলেঘাটা মেন রোড, চাউল পট্টি রোড, নারকেলডাঙা মেন রোড, রাজা বসন্ত রায় রোড-সহ কয়েকটি জায়গায় ফের গাছ ভেঙেছে। কাশীপুর রোড এবং চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের সংযোগস্থলে বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে। বাসন্তী হাইওয়েতেও গাছ পড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ঝড় হয় প্রায় ৪০ মিনিট। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা ছিল। সেটি দক্ষিণবঙ্গের দিকে সরেছে। অক্ষরেখার টানে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে এবং বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি করেছে। আবহবিজ্ঞানীরা জানান, এ দিন গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে সার দিয়ে মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। গণেশবাবু বলেন, ‘‘আগামী কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি চলতে পারে।’’ রাতে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।