চেন্নাই, ২৯ অক্টোবর: গত শুক্রবার তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে গভীর বোরওয়েলের মধ্যে পড়ে যায় দু’বছরের শিশু সুজিত উইলসন (Sujith Wilson)। তাকে উদ্ধারের কাজে নামে এনডিআরএফ। উদ্ধারের জন্য যে অপারেশন চালানো হচ্ছিল, তা টিভিতে লাইভ দেখানো শুরু হয়। সেই দৃশ্য দেখতে এক দম্পতি এতই ব্যস্ত ছিলেন যে কখন তাঁদের দু’বছরের শিশুকন্যা স্নানের গামলায় তলিয়ে গিয়েছে খেয়ালই করেননি। ওই দম্পতির বাড়ি তামিলনাড়ুর থরেসপুরম গ্রামে। মৃত শিশুকন্যার নাম রেবতী সঞ্জনা (Revathi Sanjana)। মঙ্গলবার অনেকক্ষণ টিভি দেখার পরে তার মা বাবার খেয়াল হয়, মেয়েকে আশপাশে দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা খুঁজতে গিয়ে দেখেন, সে স্নানের গামলায় ডুবে গিয়েছে। রেবতীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকাল পৌনে ছ’টার সময় বাড়ির সামনে খেলছিল দু’বছরের সুজিত উইলসন। খেলতে খেলতে সে বোরওয়েলে পড়ে যায়। প্রথমে ২৬ ফুট নীচে আটকে গিয়েছিল। পড়ে যাওয়ার পরেই তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছিল কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের সঙ্গে ছিল দমকল। তারা প্রথমে শিশুটির হাতে দড়ি বেঁধে তাকে তুলে আনার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা করতে গিয়েই সুজিত আরও গড়িয়ে চলে যায় ৮৮ ফুট নীচে। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরের দিন এনডিআরএফকে ডাকা হয়। তারা দু’দিন ধরে সুজিতকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। সোমবারই তাকে জীবিত উদ্ধার করার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অনেকে অভিযোগ করছেন, আরও আগে এনডিআরএফকে না ডাকার জন্যই সুজিতকে মরতে হল। সে পড়ে যাওয়ার পরে প্রথম কয়েকটি ঘণ্টা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তখন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি ঠিকমতো কাজ করতে পারেনি। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation:শিবসেনার সঙ্গে কোনও ভাগাভাগির চু্ক্তি হয়নি, আমিই আগামী ৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ?
এদিকে সেই সুজিত উইলসনের উদ্ধারের লাইভ ভিডিও দেখতে গিয়ে একেবারে মোহিত হয়ে গিয়েছিল সঞ্জনা দম্পতি। কখন যে তাঁদের তিন বছরের শিশুকন্যা এই ফুরসতে জলে তলিয়ে গেল জানতেই পারলেন না।