Sachin and Seema. (Photo Cedits:Twitter)

সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম জুড়ে এখন কেবল একটাই নাম সীমা হায়দার (Seema Haider)। স্বামী সংসার ফেলে চার সন্তানকে নিয়ে ভালবাসার টানে পাকিস্তান থেকে ভারত পাড়ি দিয়েছিলেন পাকবধু। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে নেপাল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন পাকিস্তানের সীমা হায়দার। তবে দিন কয়েকের মধ্যেই দেশের পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পরেন তিনি। দিন কয়েকের হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি মিলেছিল। কিন্তু প্রেমের টানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে অবৈধভাবে পাড়ি দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সীমা।

পাকিস্তানে ফিরে আসার জন্যে আগেই পাক প্রশাসনের তরফে সীমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার 'গৌরক্ষা হিন্দু দল’ নামে একটি সংগঠন নজরে ৩০ বছরের সীমা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পাক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সীমার যোগ রয়েছে। তাঁর ভারতে থাকা দেশের জন্যে নিরাপদ নয়। সেই কারণেই তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেধে দেওয়া এই ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা। তার মধ্যে সীমা যদি দেশ ছেড়ে না যান তাহলে ব্যাপক আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।

এসবের মাঝেই প্রেমিক শচীন মীনারের সঙ্গে নিখোঁজ পাক গৃহবধূ। গত কয়েকদিন ধরে শচীন এবং সীমার কোন খোঁজ মিলছে না। ১৩ জুলাই দুজনকে শেষ দেখেছিল প্রতিবেশীরা। উত্তরপ্রদেশ নয়ডায় প্রেমিকের সঙ্গে থাকছিলেন সীমা। কিন্তু আচমকাই দুজনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ঘটনায় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

২০১৯ সালে অনলাইনে পাবজি খেলতে গিয়ে পাকবধূ সীমার সঙ্গে ভারতের তরুণ শচীনের পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক মোড় নেয় ভালবাসায়। আর সেই ভালবাসার টানে স্বামী এবং চার সন্তনকে ফেলে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসেন সীমা। বেআইনি উপায়ে দেশে প্রবেশের জন্যে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পড়ে জামিনে মুক্তি পেলে সীমার।