রামপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর: জমি, বই ও মহিষ চুরির অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার সমাজবাদী পার্টির নেতা (Samajwadi Party MP) আজম খানের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগ দায়ের হল। ২০১৬-তে নাসিমা খাতুন নামের এক বছর পঞ্চাশের মহিল আজম খানের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করা হল। অভিযোগকারিণী মহিলা উত্তরপ্রদেশের রামপুরের ইয়াতিম খান সরাইগেট এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, ২০১৬-র ১৫ অক্টোবর তারিখে সাতজনকে সঙ্গে নিয়ে নাসিমা খাতুনের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন আজম খান। এরপর প্রায় ২৫জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও সেখানে চড়াও হয়। সবাই মিলে তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে গয়নাগাটি-সহ তিনটে মহিষ, একটা গরু ও চারটে ছাগল (stealing goats) নিয়ে চলে যায়।
নাসিমা খাতুন জানিয়েছেন, গত দু’দশক ধরে সরাই গেট এলাকায় যে ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে সেখানে তিনি ন্যায্য ভাড়া দিয়ে বসবাস করে আসছেন। এদিকে ওই জমিটি নাকি স্কুলের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তাই তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন আজম খানের (Azam Khan) অনুগামীরা। তিনি রাজি না হওয়াতেই এই হামলা চালানো হয় বেল অভিযোগ। তবে অভিযুক্তের তালিকায় একা আজম খান নন, রয়েছেন শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভি, সুন্নি কেন্দ্রিয় ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার আহমেদ ফারুকি, প্রাক্তন সার্কেল অফিসার আলে হাসান। এছাড়াও বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে আজম খানের স্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তানজিন ফতিমার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে রামপুর থানার পুলিশ। এই এফআইআরের ভিত্তিতে যোগী আদিত্যনাথের সরকার আজম খানকে জমি মাফিয়া হিসেবে ঘোষণা করেছে। সবমিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ৮২টি অভিযোগ রয়েছে। আর এর মধ্যে ৫০টি অভিযোগের কারণ জোর করে জমি দখল করে নেওয়া। বাকি ২৮টি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আলিয়াগঞ্জ এলাকার কৃষকরা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় আদালতে বাতিল হয়েছে আজম খানের আগাম জামিনের আবেদন। আরও পড়ুন-ভারতবর্ষের মুসলমানরা কেন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, প্রশ্ন তুললেন আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল
অন্যদিকে ২০১০ সালে নির্বাচনের সময় ভুয়ো বিবৃতি দেওয়ার জন্য রামপুরের সমাজবাদী পার্টির সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। শুনানির দিন তিনি আদালতে হাজির না থাকায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১-এর জি ধারায় আজম খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এসিজেএম। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি সাংসদ জয়া প্রদাকে নিয়ে কুরুচীকর মন্তব্যের জন্য আজম খানের বিরুদ্ধে আরও একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি মামলায় আজম খানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।