Rape, Representational Image (Photo Credit: IANS)

নয়াদিল্লি: গুজরাটের (Gujarat) দাহোদ জেলায় ছয় বছর বয়সী নাবালিকে খুন। প্রথম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, অভিযোগ করা হয়েছে যে তার স্কুলের অধ্যক্ষ তাকে যৌন হেনস্থা করে। সিনিয়র পুলিশ অফিসার রাজদীপ সিং ঝালা বলেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছয় বছর বয়সী নাবালিকার মৃতদেহ তার স্কুলের প্রাঙ্গণে পাওয়া যায়, ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে। এরপর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে বিষয়টি তদন্তে ১০টি টিম গঠন করে।

ছাত্রীটির মা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন তাঁর মেয়েকে স্কুলের অধ্যক্ষ গোবিন্দ নটের সঙ্গে স্কুলে পাঠাতেন। ঘটনার দিনিও তিনিও মেয়েকে অধ্যক্ষের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। গোবিন্দ নাটকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেদিন তিনি মেয়েটিকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অন্য কাজে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর উত্তরে পুলিশ আশ্বস্ত হয়নি। ঘটনার দিন গোবিন্দ নটের ফোনের অবস্থান খতিয়ে দেখে দেখা যায় যে তিনি সে সেদিন দেরিতে স্কুলে পৌঁছেছিলেন। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জঘন্য অপরাধের কথা স্বীকার করেন। অভিযুক্ত ৫৫ বছর বয়সী গোবিন্দ নাটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে তিনি নিয়ে যান। ছাত্রীটির মা তাকে প্রিন্সিপালের গাড়িতে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। তবে সে স্কুলে পৌঁছায়নি, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্কুলে যাওয়ার পথে, অধ্যক্ষ তাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেছিলেন এবং শিশুটি চিৎকার করতে শুরু তার শ্বাসরোধ করে। স্কুলে পৌঁছে অধ্যক্ষ তার গাড়িতে মেয়েটির দেহটি রেখে গাড়ি লক করে চলে যান। বিকাল ৫টার দিকে তিনি দেহটি স্কুলের পিছনে ফেলে দেন এবং শিশুটির স্কুলের ব্যাগ ও জুতা তার ক্লাসরুমের বাইরে রেখে দেন। পুলিশ গোবিন্দ নটকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং পকসো আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে।