পিলভিট, ২২ ডিসেম্বর: একঝাঁক পথকুকুরের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর বছর পাঁচেকের শিশুকন্যা। দু'জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট শহরের অদূরে সঙ্গাদি থানা এলাকার বারহা গ্রামে।ক্রান্ত গৃহবধূর নাম সীমা। তিনি যখন রান্নাবান্নায় ব্যস্ত তখন আচমকা তাঁর তিন সন্তানের চিৎকার শুনতে পান। তিনজনই বাড়ির বাইরে খেলছিল। ছেলেমেয়েদের চিৎকারে বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখেন মেয়ে পল্লবী(৫)কে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ৬টি কুকুরের একটি দল। অন্যদিকে বড় ছেলে অনুজ (১০) ও ছোট ছেলে মনুকে (৩) আক্রমণের চেষ্টা করছে আরও দুই কুকুর। ছেলেমেয়েদর এমন আক্রান্ত হতে দেখে চুপ করে থাকেননি মা একেবারে রণাঙ্গণে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আরও পড়ুন-Kerala: সাউদার্ন ন্যাভাল কম্যান্ডের প্রদর্শনী দেখছেন সস্ত্রীক রামনাথ কোবিন্দ, দেখুন ভিডিও
একা হাতে পাগলা কুকুরে ওই দলটির সঙ্গে যুঝতে থাকেন। কুকুরের কামড়ও তাঁকে রুখতে পারেনি। কুকুরদের থামাতে রক্তাক্ত অবস্তাতে কিল, লাথি চালিয়েছেন, যতক্ষণ না কুকুরের দল রণে ভঙ্গ দেয়। এই ঘটনায় মা-সহ তিন সন্তানই গুরুতর হয়েছে। তার মধ্যে পল্লবী ও সীমাদেবীর শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত তিনি, মেয়ে পল্লবীর মাথা ও হাত থেকে মাংস খুবলে নিয়েছে কুকুরের দল। চারজনকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও পরে মা-মেয়েকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পল্লবী। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার সময় সীমাদেবীর স্বামী দনবীর সিং কাজে বেরিয়েছিলেন। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
এই প্রসঙ্গে সাঙ্গাদি থানার পুলিশকর্মী শ্রীকান্ত দ্বিবেদি বলেন, "হামলার খবর পেয়ে আমরা গ্রামে গিয়েছিলাম। যেহেতু পথ কুকুরের কামড়ো গোটা পরিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাই কোনও অভিযোগ এখনও দায়ের হয়নি। এরপরই পুরসভার তরফ থেকে একটি দল গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে এসেছে যে, খুব শিগগির ওই পথ কুকুরদের ধরতে একটি অভিযান চালানো হবে। "