বেতুল, ২০ জানুয়ারি: বছর ১৩-র দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের পর তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করল অভিযুক্ত। সোমবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বেতুল জেলায়। ইতিমধ্যেই ৩৫ বছরের ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতাকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের এক হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বেতুলের পুলিস সুপার সিমালা প্রসাদ জানিয়েছেন, গোডাডোংরি থানা এলাকার একটি গ্রামে নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ি। কাছের এক খামারে মোটেরর সুইচ অফ করতে গিয়েছিল সে। তখন কিশোরীকে একা পেয়েই তার উপরে নারকীয় অত্যাচার চালায় ধৃত। এরপর নিজের কুকর্মের প্রমাণ লোপাটে নির্যাতিতা কিশোরীকে টানতে টানতে প্রথমে নর্দমায় নিয়ে ফেলে। তারপর সেখান থেকে তুলে কাছের এক গর্তে ফেলে দেয়। আরও পড়ুন-Vladimir Putin Takes a Dip in Icy Waters: মাইনাস ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বরফ শীতল জলে ডুব দিচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন, দেখুন ছবি
জানা গিয়েছে, কিশোরীকে জীবন্ত কবর দিতে গর্তের মধ্যে পাথর ও কাঁটা গুল্ম ফেলে দেয় ধর্ষক। এরপর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত বাড়লেও যখন কিশোরী বাড়িতে ফিরল না তখন বাবা-মা ও বোন তাঁর খোঁজখবর শুরু করে। খুঁজতে খুঁজতে গ্রতের কাছাকাছি পৌঁছে যায় নির্যাতিতার বোন। শুনতে পায় গর্তের মধ্যে থেকে গোঙানির শব্দ আসছে। তড়িঘড়ি বাবাকে ডেকে দুজনে মিলে কাঁটাগুল্ম ও পাথর সরাতে শুরু করে। এক সময় দেখতে পায় গর্তের মধ্যে প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে নির্যাতিতা। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে গোডাডোঙরি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানে নির্যাতিতা কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে নাগপুরের এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন।
নির্যাতিতার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির তফশিলি জাতি উপজাতি আইন ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।