মুম্বই, ১২ অগাস্টঃ নিখোঁজ বিজেপি নেত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বিজেপির মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ইউনিটের সংখ্যালঘু শাখার প্রধান সানা খান গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের তরফে মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শুরু থেকেই সানার নিখোঁজ হওয়ার পিছনে পরিবারের সন্দেহের তির গিয়েছিল তাঁর স্বামী অমিত সাহু ওরফে পাপ্পুর উপর। টাকা লেনদেন নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তির জেরে আলাদা থাকতেন অমিত এবং সানা। নাগপুরে বাপের বাড়িতে থাকতেন সানা। এবং মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে থাকতেন অমিত। শেষবার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে জব্বলপুর গিয়েছিলেন সানা। দুদিনের মধ্যে ফিরে আসার কথা ছিল। সেখান থেকেই নিখোঁজ। আর ফিরে আসেননি। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে জব্বলপুর এবং নাগপুর পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে নিখোঁজ বিজেপি (BJP) নেত্রী সানার স্বামীকে। পুলিশি তদন্তে অভিযুক্ত স্ত্রীকে খুন করার কথা ফাঁস করেন। জানান, জব্বলপুরে নিজের বাড়িতেই সানাকে খুন করেছেন তিনি। এরপর বাড়ি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে হিরণ নদীতে স্ত্রীর মৃতদেহ ভাসিয়ে দেন।
জানা গিয়েছে, মদ চোরাচালানের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন অমিত। এছাড়াও জব্বলপুরের কাছে রাস্তার ধারে একটি খাবারের দোকানও চালাতেন। আর্থিক লেনদেন নিয়ে সানার সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই আলাদা থাকা শুরু করেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। গত ২ অগাস্ট অমিতের সঙ্গে দেখা করতে জব্বলপুর আসেন সানা। দুজনের মধ্যে বচসা ক্রমেই চড়াও হতে থাকে। রাগের বশে স্ত্রীর মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করেন অমিত। সেখানেই মৃত্যু হয় বিজেপি নেত্রীর। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে সে। এবং সানার পরিবারকে জানায়, তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ।