কলকাতা, ১৪ জুলাই: কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)-য় ভয়াবহ দুর্ঘটনা কাণ্ডে কাঠগড়ায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোয় যাত্রী মর্মান্তিক মৃত্যুর পিছনে কর্তৃপক্ষের গাফলতিকেই দায়ি করা হচ্ছে। মৃত যাত্রী সজল কাঞ্জিলালের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা রুজু করা হয়েছে।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শেক্সপিয়ার সরণী থানায় ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪-এ এবং ৩৪ ধারায় এই মামলা দুটি রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনা হওয়া মেট্রোর সেই চালক ও গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ভাল করে খতিয়ে দেখে দেখা হচ্ছে কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল। আজ মৃতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা পুলিশের। এই দুর্ঘটনায় মেট্রোর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আরও পড়ুন-দরজায় আটকে হাত ট্রেনের বাইরে ঝুলল শরীর, কলকাতা মেট্রোয় যাত্রীর মৃত্যু
গতকালই মেট্রোয় ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মৃতের পরিবারের কাছে ছুটে যান কসবার বিধায়ক জাভেদ খান ও সাংসদ মালা রায়। মৃতের পরিবারকে তাঁরা সব রকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার ভিড় মেট্রোতে উঠতে গিয়েই যত গন্ডগোল, হাত মেট্রোতে ঢুকে গেলেও দেহ ঝুলে রইল বাইরে। সেই অবস্থায় চলতে শুরু করল মেট্রো। চাকা বার দুয়েক গড়াতে না গড়াতেই যাত্রীর সমবেত আর্তনাদ। ততক্ষণে টানেলের মধ্যে মেট্রো চলে গিয়েছে। চালক মেট্রে থামাতেই নিরাপত্তারক্ষীরা তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। দ্রুততার সঙ্গে নিকটবর্তী এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার সন্ধ্যা ছটা বেজে ৪০ মিনিটে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পার্কস্ট্রিট মেট্রোয়।
ঘটনার পরে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন যাত্রীরা। তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। ঘটনার পরেই ডাউন লাইনে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, যে মেট্রোতে এই ঘটনা ঘটেছে, তা পুরনো রেক নয়, একেবারে অত্যাধুনিক এসি রেক। কিন্তু তাহলে হাত আটকে থাকা অবস্থায় কীভাবে চলতে শুরু করল মেট্রো। যেখানে গেট পুরোপুরি বন্ধ না হলে ড্রাইভারের কাছে বার্তা পৌঁছে যায়, সেখানে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল। তাহলে কি চালকের কাছে বার্তা যায়নি। নাকি বার্তা যাওয়ার পরেও চালকের গাফিলতিতে ঘটল এই দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মেট্রো কর্তারা, যতক্ষণ না দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন হচ্ছে।