Kerala woman injured in Hamas attack (Photo Credits: X)

নার্সিংয়ের চাকরি সূত্রে শহর ছেড়ে দেশ ছেড়ে ইজরায়েলে (Israel) পাড়ি দিয়েছিলেন কেরলের মহিলা। স্বামী এবং দুই সন্তান থাকে পুনেতে। শুক্রবার রাতে ইজারেয়েলের উপর আকস্মিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে প্যালেস্তাইনের সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস (Hamas)। ২০ মিনিটের মধ্যে ৫ হাজার রকেট ইজরায়েলের বুকে এসে আছড়ে পড়ে। পালটা হামলা করে ইজরায়েলও। দুই দেশের অস্ত্র যুদ্ধে বলি হচ্ছে নিরীহ মানুষদের প্রাণ। শুক্রবার হামাস হামলার পর শনিবার সকালে বাড়িতে ফোন করেন কেরলের (Kerala) ওই মহিলা। জানান তিনি সুস্থ এবং নিরাপদ রয়েছেন। কিন্তু বেলা গড়াতে চিত্রটা বদলে গেল। এদিন স্বামীর সঙ্গে ভিডিয়ো কল চালাকালীন বাইরে আচমকা বিকট শব্দ। নিমেষে সব অন্ধকার। কেটে গেল ফোনের লাইন। পরিবার কিছুতেই যোগাযোগ করে উঠতে পারছিল না ৪১ বছরের শেজা আনন্দের সঙ্গে। দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে মাথার উপর।

পরে স্ত্রীয়ের এক সহকর্মীর থেকে খবর পান, হামাস হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শেজা। অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে আরও একটি অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। প্রতিটা ক্ষণই এখন দুশ্চিন্তায় কাটছে পরিবারের।

ইজরায়েলের উপর হামাসের আকস্মিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে পাল্টা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দুই দেশের অস্ত্রের লড়াইয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। মৃতের তালিকায় রয়েছে সৈন্য, জঙ্গি, সাধারণ মানুষ। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ৪০০-র বেশি ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই সংখ্যা ক্রমে আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। রণং দেহি অবতারে নেমেছে ইজরায়েলও। ইজরায়েলি হামলার পর যদি গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালিনি শেষ হয়ে যায়, তাহলে জনজীবন বিপন্ন হতে পারে। এবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করল গাজার বিদ্যুৎ দফতর।