কলকাতা, ২৭ মে: জয় শ্রী রাম না বলায় এক রোজাদারকে বেধড়ক পেটাল(Mass Beaten) মদ্যপ যুবকের দল। আক্রান্ত যুবকের নাম মহম্মদ বরকর আলম(MD Barkar Alam)। বছর পঁচিশের ওই যুবক গতকাল রাতে তারাবীর নামাজ পড়ে সদর বাজার থেকে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন, সেসময় রাস্তাতেই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। ইতিমধ্যেই গুরুগ্রামের(Gurugram) ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আক্রান্ত যুবক বরকর আদতে বিহারের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি গুরুগ্রামের জ্যাকবপুরা শহরে থাকেন। রমজান মাস চলছে। সদরবাজারের মসজিদ থেকে তারাবীর নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। রাস্তাতেই মদ্যপ যুবকের দল তাঁকে আক্রমণ করে। প্রথমে মাথার টুপি খুলে নেয়। তারপর ঘিরে ধরে ভারত মাতাকি জয়(Bharat Mata Ki Jai) বলতে বাধ্য করে। অশান্তি এড়াতে সবকিছুই মেনে নেন বরকর। তবে দুষ্কৃতী দলটি তাতে মোটেও সন্তুষ্ট হয়নি। এবার তাংকে জয় শ্রী রাম(Jai Sri Ram) বলতে বলা হলে ওই যুবক রাজি হননি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। জোর করে শূকরের মাংসও খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ততক্ষণে প্রাণ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে তারস্বরে চেঁচামেচি শুরু করেছেন ওই যুবক, মসজিদ থেকে তখনও মুসুল্লিরা বেরচ্ছিলেন, যুবকের আর্তনাদে সবাই তড়িঘড়ি ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। এরপরেই নিকটবর্তী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বরকর আলম।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আক্রান্ত যুবক বলেছেন, তাঁর এলোপাথাড়ি মারধরের জেরে পায়ে ও পিঠে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। রমজান মাসে মাথার টুপি কেড়ে নিয়ে কূর্তা ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনায় তিনি শুধু বিব্রত বা আতঙ্কিতই নয়, নিজের দেশে এভাবে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের শিকার হয়ে লজ্জিতও অপমানিতও। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ১৫৩, ১৪৭, ১৪৯, ৩২৩, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।