প্রতীকী ছবি (Picture Credits: ANI)

এটাওয়া, ৪ জুন: নিজের সম্মান বাঁচাতে দাদকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল বছর ২০-র তরুণী। অভিযোগ, ছোটবোনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল দাদা। তাই প্রায় বাধ্য হয়েই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই তরুণী। বুধবার সাতসকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়া (Etawah) জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায়। মৃত যুবকের নাম দীপক রাজপুত। সে স্থানীয় সাতি মহল্লার বাসিন্দা ছিল। এলাকার একটি সংস্থা থেকে কম্পিউটার ট্রেনিংও নিচ্ছিল। বাড়িতে বাবা-মা ও ছোটবোনকে নিয়েই সংসার। তবে বুধবার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। বেলা শহরে মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন। দীপক বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগটিই নিয়েছিল।

এই সুযোগে বুধবার সকালে ছোট বোনের শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে সে। তখন নিজের সম্মান বাঁচাতে ওই তরুণী কাঁচি ও হামানদিস্তা দিয়ে দাদাকে আঘাত করে। আতঙ্কিত তরুণীর উপর্যুপরি আঘাতে দীপকের মৃত্যু হয়। এরপর নিকটবর্তী থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করেন তিনি। থানার সার্কেল অফিসার বৈভব পাণ্ডে বলেন, পুলিশ অপরাধের খোঁজ করার আগে নিজেই থানায় গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান অভিযুক্ত তরুণী। তারপর পুলিশকে সঙ্গে করে সাতি মহল্লার বাড়িতে ফেরেন। যেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ভয়ঙ্কর ক্ষত নিয়ে পড়ে আছে তাঁর দাদা। তড়িঘড়ি ওই যুবককে স্থানীয় সেফাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আরও পড়ুন-COVID-19 Cases In India: বৃহস্পতিবার দেশে করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৯১৯, ১ দিনে নতুন রোগী ৯,৩০৪

অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অবাক কাণ্ড হল, ছেলের বিরুদ্ধে আনা মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁদের বাবা-মা। অভিযুক্ত তরুণী ও মৃত যুবকের ফোনের কল বিশদে চেক করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলার পর জেলে পাঠানো হবে।