
নতুন দিল্লি, ৪ জুন: কেরালায় বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খেয়ে মৃত অন্তঃসত্ত্বা হাতির খবরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অমানুষিক ঘটনার নিন্দায় একের পর এক পোস্ট হচ্ছে। সঙ্গে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে চলছে শেয়ার। এদিকে এই ঘটনা কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। এই ঘৃণ্য অপরাধ ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তবে টুইটে প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, এটি কেরালার মাল্লাপুরমের ঘটনা। তবে আদতে তা ঘটেছে কেরালার পালাক্কাড় জেলায়।
এই প্রসঙ্গে টুইটার পোস্টে রতন টাটা লিখেছেন, “আমি মর্মাহত, স্তম্ভিত। একটি অবোলা, গর্ভবতী হাতিকে কীভাবে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাওয়াতে পারে মানুষ! কতটা নিষ্ঠুর হতে পারলে এই কাজ করা যায়।” এমন অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। নিরীহ প্রাণীদের প্রতি এমন অপরাধমূলক আচরণ ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুনেরই মতো, বলেছেন প্রবীণ শিল্পপতি। এই অপরাধের যথাযোগ্য বিচারের দাবিও করেছেন তিনি। কেরলের বনকর্তারা বলছেন, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে বুনো শুয়োর বা ওই জাতীয় বন্যপ্রাণীর উৎপাত কমাতে গ্রামের সীমানায় বিস্ফোরক বা বাজি ফর্তি ফল বা আনাজ রেখে টোপ দেয় গ্রামবাসীরা। এমন বোমা বা বিস্ফোরক তারা নিজেরাই তৈরি করে। এই ঘটনার মাস কয়েক আগেও একটি স্ত্রী হাতিকে রক্তাক্ত শুঁড়, ক্ষতবিক্ষত মুখে গ্রামের সীমানায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ওই হাতিটিরও চোয়াল ভাঙা ছিল। যার থেকে অনুমান করা যায়, সেই হাতিটিও এমন বিস্ফোরক ভর্তি কোনও ফল বা আনাজ খেয়ে ফেলেছিল। আরও পড়ুন-Basu Chatterjee: বাসু চ্যাটার্জির প্রয়াণে টুইটারে শোকজ্ঞাপন, দেখে নিন কে কী বললেন
Central Government has taken a very serious note of the killing of an elephant in Mallapuram, #Kerala. We will not leave any stone unturned to investigate properly and nab the culprit(s). This is not an Indian culture to feed fire crackers and kill.@moefcc @PIB_India @PIBHindi
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) June 4, 2020
উল্লেখ্য, কেরলের মল্লপুরমের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছিল গর্ভবতী হাতিটি। ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বনবিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, সম্ভবত খিদের জ্বালাতেই লোকালয়ে চলে এসেছিল হাতিটি। মানুষের কাছে খাবার পাবে এই বিশ্বাসই ছিল তার। এমন ভরসার জায়গা থেকেই বিপদ ঘনালো। বিস্ফোরক ঠাসা আনারস খেয়ে ফেলে মর্মান্তিক মৃত্যু হল মা হতে চলা হাতিটির। রক্তাক্ত শুঁড়, ভাঙা চোয়াল নিয়ে গ্রামে গ্রামে ছুটে বেড়িয়ে শেষে নদীর ঠাণ্ডা জলেই হয়তো আরাম খুঁজে পেয়েছিল।