মাত্রা ছাড়ানো নৃশংসতা। পাশবিক বললে সমগ্র পশুজাতিকে অসম্মান করা হবে বইকি। কারণ এমন নিষ্ঠুরতা কোন পশুর পক্ষেও করা সম্ভব নয়। মানুষই পারে মানবিক হতে আবার মানুষই পারে নৃশংসতার চরম পর্যায় পৌছাতে। বিহারের (Bihar) খাগারিয়া জেলাবাসী মাত্রা ছাড়ানো এক নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল। খাগারিয়ার পসরাহা গ্রামে বছর ৪৫ এর এক মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন (Murder) করা হল। খুনের আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলার চোখ উপড়ে নেওয়া হয়, স্তন কেটে তারপর যৌনাঙ্গ ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বিকৃত মৃতদেহ দেখলে গা শিউরে ওঠার জো। মাঠের মধ্যে মহিলার বিকৃত মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশে।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানান, মৃত মহিলার নাম সুলেখা দেবী। মাঠে কাজ করার সময়ে কয়েকজন দুষ্কৃতি মিলে আক্রমণ করে মহিলার উপর। মাঠের মধ্যেই নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে সুলেখা দেবীর দুটো চোখ খুবলে দেয় অভিযুক্তরা। এরপর তাঁর স্তন কেটে বাদ দেব। এখানেই শেষ নয়। ওই অস্ত্র যৌনাঙ্গের মধ্যে ধুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। তীব্র যন্ত্রণায় ছটকাতে ছটকাতে মৃত্যু হয়েছে মহিলার।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ আরও জানান, ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল মৃতার স্বামী বাবলু সিং এবং ভাসুরকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। খুনের অভিযোগে অভিযুক্তরা গত বছরেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সুলেখা দেবীকে হত্যার পিছনে প্রাথমিকভাবে জমি বিবাদের আঁচ করছেন পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। যদিও খুনের আসল কারণ তদন্তে নেমেছেন পুলিশ।
সুলেখা দেবীর এমন বিকৃত খুনের ঘটনায় শিহরিত গোটা গ্রাম। খুনের ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং নিহতের পরিজনরা মিলে পসরাহা থানার কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়, যার ফলে ঘন্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয় সেখানে। বিক্ষোভ তুলে দিতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সেখানে পৌঁছান এসডিপিও। তাঁদের কথা দেন, যে কোন প্রকারে হোক অপরাধীকে খুঁজে বের করে যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে।