রাস্তাঘাটে নিত্য কতশত মহিলাকে পুরুষদের হেনস্থার (Molestation) শিকার হতে হচ্ছে। ধর্ষণের সাজা আইন দিলেও হেনস্তার ক্ষেত্রে অধিকাংশরাই পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই শ্লীলতাহানি ও হয়রানির শাস্তি এমন দৃষ্টান্তমূলক দেওয়া দরকার যাতে ভবিষ্যতে কেউ সেই কাজ করার আগে অন্তত দুবার ভেবে দেখবে। বিহারের (Bihar) কাতিহার জেলায় এলাকাবাসী মিলে এক ব্যক্তি বেধড়ক মারধর করে চুল দাড়ি কামিয়ে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানির শাস্তি দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আনন্দ। কাবার গ্রামে রাজীব কুমার নামে এক ব্যক্তির ময়দা কলে কাজ করতেন আনন্দ। কাজের সূত্রেই রাজীবের স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় আনন্দের। দুজনে মধ্যে ফোনালাপও চলত। কিন্তু এরই মধ্যে মহিলা আনন্দের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি অভিযোগ তোলে। বিগত তিন মাস ধরে স্বামী রাজীবের কর্মচারী তাঁকে অযাচিত ফোন করে বিরক্ত করছে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে এসে তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন মহিলা। আনন্দকে হাতেনাতে ধরে মহিলার পরিবার।
এরপরেই গ্রামবাসী মিলে অভিযুক্ত আনন্দকে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারে। সমাজে তাঁকে লজ্জিত করার জন্যে চুল দাড়ি কামিয়ে দিয়ে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দেয়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনন্দ। উলটে দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। মহিলা তাঁকে ফাঁসিয়েছে। ওই মহিলাই তাঁকে ফোন করতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিকে তাঁকে বাড়িতে ডাকতেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে অভিযুক্ত আনন্দকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু মহিলা কিংবা তাঁর পরিবারের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় আনন্দকে ছেড়ে দেন পুলিশ।