চেন্নাই, ২৭ এপ্রিল: লকডাউনের মধ্যে চূড়ান্ত লজ্জাজনক ঘটনা ঘটল চেন্নাইতে (Chennai Police)। অ্যাম্বুল্যান্সের পথ আটকে ভিআইপি কনভয় পাস করালো পুলিশ। আর নেতামন্ত্রীদের দেখতে রাস্তায় ভিড় জমালো মানুষ। এমনিতেই করোনার বাজারে রোগীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে প্রশাসনের ঘাম ছুটছে। রোগীর পরিবারের লোকজনদের মানসিক অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এই পরিস্থিতিতে যত তাড়াতডি় হাসপাতালে পৌঁছানো যায় ততই মঙ্গল। সেখানে ভিআইপি কনভয়কে আগে রাস্ত ছাড়তে গিয়ে রোগী সমেত অ্যাম্বুল্যান্সের পথ রোধ করল পুলিশ। একে একে দাঁড়িয়ে পড়ল আরও অনেক গাড়ি. তার কোনওটায় চিকিৎসকরা ছিলেন, কোনওটায় স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি পরিষেবার দ্রব্যাদি। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ভিডিও পোস্ট করতেই চেন্নাই পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নেটিজেনরা ইতিমধ্যেই চেন্নাই পুলিশের এহেন কাজকে অমানবিক আখ্যা দিয়েছে। চেন্নাইয়ের এক তিনমাথার মোড়ে চরম ব্যস্ততা। হঠাৎ দূরন্ত বেগে এগিয়ে আসা অ্যাম্বুল্যান্সকে আটকে দিল পুলিশ। পিছনে ধীরে ধীরে দীর্ঘ হল গাড়ির সারি। অনেকটা সময় আটকে থাকার পর ভিআইপি কনভয় চলে গেলে ছাড়া হল রাস্তা। এদিকে লকডাউনের মধ্যে আটকে পড়া ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের (Migrant Workers) বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়া কেন্দ্রের আবশ্যিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। প্রচুর ভিনরাজ্যের শ্রমিক এই মুহূর্তে করোনার হটস্পট মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে রয়েছে। সোমবার একথাই বলল শিবসেনা। মুখপত্র সামনা’র সম্পাদকীয়তে শিবসেনার দাবি, “আটকে পড়া শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য বাস ও ট্রেনের বন্দোবস্ত করতে হবে কেন্দ্রকে। এটা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যে, আটকে পড়া শ্রমিকরা অন্তত এই বিপদের দিনে বাড়িতে ফিরে যাক। এই সময় হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় দিন কাটাতে থাকলে তাঁদের স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও সুখকর নয়। কেন্দ্র এই দায় এড়াতে পারে না।” আরও পড়ুন- Shiv Sena On Migrant Workers: লকডাউনে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র, বলল শিবসেনা
#WATCH An ambulance and commuters were stopped by Chennai Police near Island Grounds intersection to allow VIP convoy to pass, today. #Chennai pic.twitter.com/0gdvHOhrFX
— ANI (@ANI) April 27, 2020
সোমবার ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের (Coronavirus Cases) সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৯২। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ২০ হাজার ৮৩৫ জন এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চলেছেন। সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই বাড়িতে ফিরেছেন ৬ হাজার ১৮৪ জন। করোনার বলি এখনও পর্যন্ত ৮৭২ জন। মৃতদের একদন বিদেশি, দেহ পাঠানো হয়েছে তাঁর দেশে। মহামারী করোনায় সবথেকে খারাপ অবস্থায় মহারাষ্ট্র। সোমবার সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছুঁয়ে ফেলল। গুজরাটে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ৩০১। দিল্লিতে আক্রান্ত ২ হাজার ৯১৮। রাজস্থানে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ১৮৫ অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬।