মধ্যপ্রদেশ, ২২ নভেম্বর: স্বামী খুন করে রান্নাঘরের স্ল্যাবের নিচে পুঁতে দিল স্ত্রী। তারপর সেই স্ল্যাবের উপরে উনুন রেখে রান্না করতে লাগল। একদিন দুদিন নয় প্রায় একমাস এই নিয়মের হেরফের হয়নি। কীকরে স্ত্রী স্বামীকে খুন করে তার দেহ পুঁতে সেখানে রান্না করে গেল তা পুলিশের মাথাতেই আসছে না। হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলার (Madhya Pradesh's Anuppur district) কারোন্ডি গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা মহেশ বানওয়ালকে (Mahesh Banawal,) পাওয়া যাচ্ছে না। একমাস আগে এনিয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী প্রমিলা। প্রথমটায় তদন্তে নেমে প্রমিলাকে একবারও সন্দেহ হয়নি পুলিশের। সে একেবারে স্বাভাবিক আচরণ করছিল।
তবে যথন নিখোঁজ মহেশের ভাই অর্জুন থানায় গেল, তখনই তদন্তে মোড় ঘুরে গেল। এই প্রসঙ্গে এসএইচও ভানুপ্রতাপ জানান, গোটা বিষয়টা অস্বাভাবিক মনে হয় মহেশের ভাই অর্জুনের অভিযোগের পরে। অর্জুন জানিয়েছিলেন, ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবারকে কোনওভাবেই আর বাড়িতে ঢুকতে দিতে চায় না প্রমিলা। নানাভাবে তাঁদের অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। একদিন জোরজবরদস্তি বাড়িতে ঢুকে পড়ে পচা গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁদের। অর্জুনের অভিযোগের ভিত্তিতেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাজ্জব হয়ে যায় পুলিশ। রান্নাঘরের স্ল্যাবের নীচ থেকে মেলে মহেশের পচাগলা দেহ। এই শবের উপর মাটি চাপা দিয়ে তার উপর উনুন বসিয়েই রান্না করত প্রমিলা। জেরায় সে জানায়, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই সে এই কাজ করেছে। খুন না করলে উল্টে মহেশই নাকি তাকে মেরে দিত। আরও পড়ুন-Madhya Pradesh: পুলিশ সেজে নকল থানা তৈরি করে চলছিল তোলা আদায়, কোথায় জানেন?
প্রমিলার দাবি স্বামী মহেশের সঙ্গে ভাই গঙ্গারামের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই তথ্য গঙ্গারাম ও প্রমিলার অজানা নয়। তাই পরিকল্পনা করে দুজনে মিলে মহেশকে খুন করে রান্নাঘরে পুঁতে দেয়। তবে গঙ্গারাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যেই খুন করে থাকুক না কেন প্রমিলার পক্ষে একা এই কাজ করা সম্ভব নয়। একাজে এক বা একাধিক পুরুষ তাকে সাহায্য করেছে। ভাড়াটে খুনির জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে গ্রেপ্তারির পরেও প্রমিলার কোনও তাপ উত্তাপ নেই।