প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

পুনে, ৩ অক্টোবর:  পুলিশ ভ্যানের (Police Van) চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বছর চারেকের এক নাবালিকার। একেই বলে নিয়তির পরিহাস, রাস্তায় খেললে গাড়ি চাপা দিতে পারে, এই ভয়ে বাবা-মা একমাত্র শিশুকন্যাকে ছোট থেকেই ঘরমুখী করেছেন। এদিন বিকেলে বাড়ির উঠোনেই খেলাধুলা করছিল একরত্তি। বাড়ির উঠোনেই একটি পুলিশ ভ্যান পার্ক করা ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে ওই গাড়ির নিয়েই লুকিয়ে পড়ে শিশুকন্যা। তাতেই যত বিপত্তি, এরমধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে কনস্টেবল গাড়িতে চড়ে থানার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তিনি খেয়ালই করেননি যে গাড়ির নিচে শিশুকন্যা লুকিয়ে আছে। স্টিয়ারিংয়ে চাপ পড়তেই আর্তনাদ ভেসে আসে সঙ্গে চলকে ওঠে রক্ত। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এদিকে শিশুটির আর্তনাদ শুনে বাড়ির সদস্যরা বেরিয়ে আসেন। তড়িঘড়ি ওই গাড়িতে চাপিয়েই শিশুকন্যাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, গাড়ি উত্তম নগর থানার। দুর্ঘটনার পরে কিন্তু অশান্তি এড়াতে পালিয়ে যাননি ওই কনস্টেবল, বরং ভ্যানে তুলেই শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন। এরপর কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা শিশুকন্যার বাবা-মা। মৃত শিশুর নাম দিব্যা চ্বহান (Divya Chavan)। বুধবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পুনের শিবানে এলাকায়। একরত্তি দিব্যার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। আরও পড়ুন-বাপু তুমি কোথায় গেলে, গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে কেঁদে ভাসালেন সমাজবাদী পার্টির নেতা, (দেখুন ভিডিও)

গত মাসে পুনে বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়কের উপরে এমনই এক দুর্ঘটনায় একই সঙ্গে ছয় জনের মৃত্য়ু হয়েছিল। একটি পণ্যবাহী ট্রাককে ধাক্কা মেরে যাত্রীবাহি বাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল। এর জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসের যাত্রীদের মধ্যে প্রথমেই ছয়জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টায়ার ফেটে যাওয়ায় জাতীয় সড়কের ধারে ট্রাকটি দাঁড়িয়েছিল। বাসটি পুণে থেকে কর্ণাটক যাওয়ার পথেই নিয়্ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তাতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।