নয়াদিল্লি, ২৫ নভেম্বর: কোভিড-১৯ (Covid-19) সংক্রমণের দাপট বাড়ছে ক্রমশ। এদিকে লকডাউনও আলগা হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট-বাজার-দোকান সবেতেই নজরে আসছে ভিড়। এহেন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে রাতে কার্ফু জারির নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA Issues New Guidelines)। করোনা রুখতে কন্টাইনমেন্ট জোনের বাইরে রাজ্য, জেলা, মহকুমা কিংবা শহরের কোথাওই কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া লকডাউন জারি করতে পারবে না রাজ্য। বুধবার দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নয়া নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।
"কন্টাইনমেন্ট জোনগুলিতে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও ওষুধ পরিবহণের ক্ষেত্রেই শুধু ছাড়পত্র মিলবে। কন্টাইনমেন্ট জোনের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত আইসোলেশনে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।" নতুন নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে। পড়ুন: Cyclone Nivar: বিধ্বংসী আকার নিতে পারে নিভার, ২৬ নভেম্বর ১৩ জেলায় ছুটি ঘোষণা তামিলনাড়ুর
করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি যাচাই করে সংক্রমণ রুখতে স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ জারি করতে পারে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি। তবে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে এবং রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাওয়ার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না। পুরোপুরি রাজ্যজুড়ে লকডাউন জারি করা যাবে না, তবে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা যেতে পারে।
কন্টাইমেন্ট জোনের বাইরে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় ছাড়া সমস্ত কিছুর উপরই ছাড় দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্র অনুমতি দিলেও রয়েছে বিধিনিষেধ, তা একনজরে-
১. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রার উপর জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
২. সিনেমা হল এবং থিয়েটারে ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৩. সুইমিং পুল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের ট্রেনিংয়ের জন্য।
৪. প্রদর্শনী হল ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র ব্যবসার খাতিরে।
৫. সামাজিক/ ধর্মীয়/ স্পোর্টস/ বিনোদন/ শিক্ষা/ সংস্কৃতি/ ধর্মীয় জমায়েতের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট জায়গার ৫০ শতাংশ লোক জমাচেত করতে পারবেন।
বুধবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২,২২,২১৭। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে নতুন করে ৪৮১ জনের। সবমিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১,৩৪,৬৯৯।