জল্পনা ছিল তিনটি নাম নিয়ে। একজন নেপালের (Nepal) সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কার্কি, দ্বিতীয়জন কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ এবং তৃতীয়জন ছিলেন নেপালের বিদ্যুত বোর্ডের প্রাক্তন সিইও কুল মান ঘিসিং। তবে দফায় দফায় বৈঠকের পর জেন-জি গ্রুপের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন সুশীলা কার্কি। শুক্রবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে শপথবাক্য পাঠ করবেব তিনি। যার ফলে জোরকদমে প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মজবুত হতে পারে ভারত-নেপাল সম্পর্ক
সুশীলা বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ছিলেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে একাধিক দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছিলেন। তিনি পক্ষপাতহীনভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতেন। যার ফলে অনেক সময় সরকার পক্ষকেও সমস্যায় পড়তে হয়ে ছিল। তাঁর এই নীতিই পছন্দ করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের দাবি, সুশীলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হতে পারে। ওলির জমানায় যে ভারতবিরোধী মনোভাব ছিল, সেটা এবার অনেকটাই ঠিক হতে পারে।
বৈঠকে সকলেই সুশীলাকেই নির্বাচিত করেছেন
শুক্রবার জেন-জি গ্রুপের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন হামি নেপালি গ্রুপের সদস্যরা। সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করেই এদিন সুশীলাকেই অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিশ্চিত করা হয়। এদিকে সুশীলাকে সমর্থন জানিয়েছেন বালেন্দ্র শাহ এবং কুল মান ঘিসিংও।