Narendra Modi On Lockdown 4.0: দেশজুড়ে জারি হবে লকডাউন ৪.০, কিন্তু কবে তা ধোঁয়াশাতেই; ২০ লাখ টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদি (Picture Source: ANI)

নতুন দিল্লি, ১২ মে: আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মূলত অর্থনীতির ওপরই জোর দিয়েছেন তিনি। দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণাও করেন। করোনা আমাদের সঙ্গেই থাকবে। তাই সামাজিক দায়িত্ব ও মাস্ক পরে থাকা আবশ্যিক। চতুর্থ দফার লকডাউন (Lockdown 4.0) হবে। কিন্তু এবার নিয়ম কিছুটা অন্যরকম হবে। আগামী ১৮ মের আগে এই বিষয়ে জানানো হবে। অর্থাৎ লাখ টাকার প্রশ্ন কবে লকডাউন হবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশাতেই রয়ে গেল গোটা দেশে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কী করা হবে তা নিয়েও তাঁর ভাষণে কিছু জানাননি প্রধানমন্ত্রী।

জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন- "গত চার মাস ধরে বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনার প্রকোপ। সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এমন সঙ্কট আমরা আগে দেখিনি। আমাদের বাঁচতেও হবে আবার এগিয়েও যেতে হবে। আমাদের সংকল্প দৃঢ় করতে হবে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। আত্মনির্ভর ভারত- এটি সহজ ও মূল রাস্তা। করোনার আগে পর্যন্ত পিপিই কিট তৈরি হতো না, এন- ৯৫ মাস্ক কিছুই মাত্র তৈরি হতো। আজ ভারতে ২ লাখ পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক তৈরি করেছে। আত্মকেন্দ্রিক ব্যবস্থা নয়, ভারত আত্মনির্ভরশীলতায় বিশ্বাস করে। আরও পড়ুন, নরেন্দ্র মোদির ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা, 'আত্মনির্ভর ভারত' গড়ার সঙ্কল্প

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ভারতের ওষুধ বিশ্বজুড়ে দরকার পড়ে। দুনিয়া এখন বিশ্বাস করছে ভারত অনেক কিছু পারে। মানবজাতির কল্যাণের জন্য ভারত খুব ভালো কাজ করতে পারে। অর্থব্যবস্থার ওপর জোর দেন তিনি। সাপ্লাই চেন বাড়িয়ে মজবুত করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করলেন তিনি। ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেন তিনি। যা ভারতকে আত্মনির্ভর হতে গতি আনবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প ও এমএসএমই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত সকলে উপকৃত হবেন। এই আর্থিক প্যাকেজ শ্রমিকদের জন্য, বধ্যবিত্তের জন্য যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন।

গত ৬ বছরে সংস্কার আনারফলে ভারতের অর্থনীতিতে কুপ্রভাব পড়েনি। এই প্যাকেজের ফলে ব্যবসা বাড়বে, বিনিয়োগ টানতে সাহায্য করবে। শ্রমিক শ্রেণী, গরিব মানুষ যারা কষ্ট করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের উপকার হবে। সঙ্কটের সময় দেশের তৈরি জিনিসই সবথেকে বেশি কার্যকরী হয়েছে। তাই ভারতকে দেশেই জিনিস তৈরি করতে হবে, মানুষকে দেশের জিনিসই কিনতে হবে।