Clean Chit To PM Narendra Modi: গুজরাট দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে গড়িমসি করেনি তৎকালীন সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিল নানাবতী কমিশন
নরেন্দ্র মোদি (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: ২০০২ সালে গুজরাটে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না। গোলমাল থামাতে প্রশাসন যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। বুধবার গুজরাট সরকারের তরফে সেই রিপোর্ট বিধানসভায় (Gujarat assembly) পেশ করা হল। যে রিপোর্টটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ক্লিনচিট দিল নানবতী কমিশন (Nanavati Commission)। দাঙ্গার সময়কালে তিনিই ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। দাঙ্গার সময় মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও পুলিশ অফিসাররা কী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত করার অধিকার দেওয়া হয় কমিশনকে। রিপোর্ট পেশ করার জন্য কমিশনকে সময় দেওয়া হয়েছিল ছ’মাস। পরে বহুবার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালে কমিশন রিপোর্টের প্রথম অংশ পেশ করে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে ২০১৪ সালে।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন গোধরায় ট্রেনে আগুন লেগে ৫৯ জন করসেবক মারা যান। তারপরে গুজরাটে দাঙ্গা (Gujarat Riot) ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে পারেনি। অনেক জায়গায় পুলিশ জনতাকে থামাতে আগ্রহও দেখায়নি। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ও তার পরবর্তী দাঙ্গা নিয়ে তদন্তের জন্য কমিশন গঠন করেন। তখন কমিশনে একজনই সদস্য ছিলেন। তিনি হলেন বিচারপতি জি টি নানাবতী। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি কে জি শাহকে ওই কমিশনের সদস্য করা হয়। তিনি কিছুদিনের মধ্যে মারা যান। তাঁর বদলে নেওয়া হয় বিচারপতি এ কে মেহতাকে। আরও পড়ুন-Citizenship Amendment Bill 2019 In Rajya Sabha: রাজ্যসভায় পাল্টি শিবসেনার, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিপক্ষে ভোট দলীয় নেতাদের

প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আর বি শ্রীকুমার জনস্বার্থের মামলা করে আর্জি জানিয়েছিলেন, নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক। এর পর এই মর্মে গত সেপ্টেম্বর মাসে গুজরাট সরকার হাইকোর্টে জানায়, বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট পেশ করা হবে। সেইমতো এদিন রিপোর্ট পেশ হলে দেখা যায় দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীদের গড়িমসির অভিযোগের প্রমাণ পায়নি কমিশন। উল্টে কমিশনের তদন্তের এক্তিয়ারে থাকা তৎকালীন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে দাঙ্গা চললেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু পুলিশ অফিসার ‘প্রয়োজনীয় তৎপরতা ও আগ্রহ দেখাননি’। কিছু পুলিশ অফিসার আবার দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিলেন, উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশও করেছে কমিশন।