এইমস (AIIMS) নয়াদিল্লির পরিচালক- অধ্যাপক (ডঃ) এম শ্রীনিবাসের নেতৃত্বে এবং টক্সিকোলজির বিশেষজ্ঞরা সহ একটি ছয় সদস্যের দল গতকাল জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার বধাল গ্রামে গিয়েছিলেন যেখানে অজানা রোগে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রহস্যজনক রোগে আক্রান্ত ৩-৪টি পরিবারের বাউলি ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে যে দলটি গতকাল বাধাল গ্রাম পরিদর্শন করেছে এবং তাদের সিল করা বাড়ি এবং সেই এলাকার আশেপাশের জলাশয় থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে সেইসব নমুনা পরীক্ষা করা হবে। বিশেষজ্ঞরা অন্যান্য গ্রামবাসীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন এবং ঘটনার পেছনের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেন।
শুক্রবার রাতে রাজৌরিতে পৌঁছে যায় ওই বিশেষজ্ঞ দলটি। এরপর সরকারি মেডিকেল কলেজ (Government Medical College) রাজৌরিতে ভর্তি রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে দেখা যায় তাঁদের। এমনকি পুরো পর্বটি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রশ্নও তাঁদের করা হয়। এমনকি পর্যবেক্ষণে থাকা রোগীদের কিছু পরীক্ষাও করেছেন তারা। জিএমসি রাজৌরির ডাক্তাররা ব্যবহার করে ১১ জন রোগীর চিকিৎসা করছেন।
বিশেষজ্ঞ দলটি এই রোগীদের সঙ্গে কথা বলে যারা রহস্যময় অসুস্থতার জন্য চিকিৎসাধীন ছিল এবং তাদের ক্লিনিকাল ইতিহাস রেকর্ড করেছে। এইমস দিল্লি টিম ছাড়াও পিজিআই চণ্ডীগড়ের (PGI Chandigarh) বিশেষজ্ঞদের একটি দলও বিষের কারণ অনুসন্ধান করছে। এদিকে বাধল গ্রামে গত দশ দিনে নতুন কোনো অসুস্থ হওয়ার ঘটনা হয়নি। যাইহোক জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ( J&K Police) দ্বারা গঠিত সিট (SIT)-এর ১১ জন সদস্য মামলাটি তদন্ত করার জন্য এবং কিছু সূত্র পেতে কঠোর পরিশ্রম করছিল। কিন্তু দলটি আজ পর্যন্ত মামলায় কোন অগ্রগতি করতে পারেনি। তিনি বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসী পুলিশ দলকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। উল্লেখ্য যে বাধাল গ্রামকে একটি কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে এবং সমস্ত সরকারী এবং ব্যক্তিগত জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।