মমতা ব্যানার্জি ও মুকুল রায়( credit-IANS)

৭মে, ২০১৯: রাজ্যে মমতার লড়াই কার সঙ্গে মোদি না মুকুল?‌ (Mukun Roy) এ একেবারে লাখ টাকার প্রশ্ন। আপাত দৃষ্টিতে মোদির সঙ্গে লড়াই বলে মনে হলেও বাস্তবে লড়াইটা যে মুকুলের সঙ্গে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এক সময়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন মুকুল। বলা চলে সংগঠন শক্তিশালী করার নেপথ্যে প্রধান ভূমিকাই ছিল মুকুলের। তৃণমূল(TMC) স্তর থেকে দলের উচ্চস্তরে সমীকরণ বজায় রাখা সবই নিজের কাঁধে নিয়েই চলতেন মুকুল। সেই সুবাদে দলের যাবতীয় গোপন সিদ্ধান্ত মুকুলের হাতেই থাকত। এবং দলনেত্রীর ভাবনা চিন্তা কি হবে পারে সবটাই মুকুলের নখদর্পণে ছিল।

এহেন দলের একজন দক্ষ, দায়িত্ববান নেতা যখন বিজেপিতে (BJP)যোগদান করে তখন স্বাভাবিকভাবেই চিন্তাটা একটু বেশিই থেকে গিয়েছে দলনেত্রীর। কারণ মমতা কী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বা কোন পথে তৃণমূল এগোচ্ছে তা আগাম আঁচ করার ক্ষমতা মুকুলের রয়েছে। দক্ষ সংগঠক হিসেবে মুকুল সে কাজ অনায়াসেই করতে পারে সেকথা বিজেপিও বিলক্ষণ জানে। সেকারণেই আর কিছু না পারলেও তৃণমূলে ভাঙন ধরাতে মুকুলকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। একে অমিত শাহের (Amit Shaha)সুকৌশল সমীকরণও বলা যায়। সেকারণেই ভোটের মুখে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে বিজেপিতে টেনে আনতে সক্ষম হয়েছে অমিত। এমকী সব্যসাচীর মতো দাপুটে তৃণমূল নেতাকেও এক ঘরে করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।

তাই রাজ্যে মোদিকে(Narendra Modi) সামলানোর থেকেও মুকুলকে সামলানোই এখন বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মমতার কাছে। কারণ মোদি যে রাজ্যে এসে কিছুই করতে পারবে না সেকথা মমতাও ভাল করে জানেন। তারচেয়ে মুকুলকে আটকানোটাই মমতার কাছে বড় বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। দলের মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতাদের সামলে রাখতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। ভোট বাক্সে মুকুলের প্রভাব যে পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মুকুলের ভোট কাটার কৌশলকে সামলে রাখাই এখন মমতার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।