প্রতীকী ছবি(Photo Credit :PTI)

রেওয়া, ১৭ অক্টোবর: রাগের বশে স্ত্রী ও ১ বছরের শিশুকন্যাকে খুনের পর ২২ টুকরো করলো স্বামী। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার। ধৃতের নাম চিন্দালাল সাকেত। দুটি দেহকে যখন প্রমাণ লোপাটের জন্য সরিয়ে ফেলছিল চিন্দালাল তখনই পুলিশ তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে ধৃত চিন্দালাল তার স্ত্রীকে সন্দেহ করত। তাইতো এক রত্তিকে গলা টিপে খুন করল সে। আর স্ত্রীর গলা ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে কেটে দিল। এই প্রসঙ্গে রেওয়ার পুলিশ সুপার রাকেশ সিংহ বলেছেন, “দুটি দেহ ২২ টুকরো করে কাপড়ে মুড়ে ফেলে চিন্দালাল। তারপর অকুস্থল সাফ সুতরো করে ফেলে। এরপর বৃহস্পতিবার সারটা দিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই বার্তালাপ করে যাতে কেউ তার ভয়ঙ্কর কীর্তিকলাপ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আঁচ না করতে পারে।” আরও পড়ুন- COVID-19 Vaccination: করোনার কাঁটা, ব্রাজিলের জনবহুল রাজ্য সাওপাওলো-তে বাধ্যতামূলক হল কোভিডের প্রতিষেধক

ধৃত চিন্দালালের এটি ছিল দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর। প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ বছর আগে। এরপর ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করে সে। যদিও ধৃতের দাবি সে টিবি রোগে ভুগছে। বৃহস্পতিবার সারাটা দিন ঘাপটি মেরে থেকে কুকীর্তি চাপা দিলেও রাতের বেলায় নিজেই দেহাংশগুলিকে জঙ্গলে ফেলে আসে চিন্দালাল। তবে যখন সে কাপড়ে প্যাকেট নিয়ে জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল তখন দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। এরপরই স্থানীয়রা কৌতূহলের বশে চিন্দালালের কাছে জানতে চান সে কি ফেলে এল। যেকোনওভাবেই প্রসঙ্গ ঘোরাতে তৎপর ছিল ধৃত। তবে বাসিন্দারাও ছাড়ার পাত্র নন। সবেই মিলে চেপে ধরে কাপড় খুলে ফেলতেই দেহাংশগুলি বেরিয়ে পড়ে। এরপর তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। শুক্রবার চিন্দালালকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের নির্দেশে দৃতের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়েছে।