ভ্যাকসিন (Photo credits: Flickr)

মোরাদাবাদ, ১৮ জানুয়ারি: করোনা প্রতিষেধকের (COVID-19 Vaccination) প্রথম ডোজ নেওয়ার পরের দিনই মারা গেলেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। মৃত ব্যক্তির নাম মহীপাল (৪৬)। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রাণ হারিয়েছেন মহীপাল। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি করোনার টীকা নিয়েই প্রাণ গিয়েছে তাঁর। মোরাবাদের দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত ছিলেন মহীপাল। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা মিলিন্দ চন্দ্র গর্গ বলেছেন, হৃদরোগই হল ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর কারণ। এদিকে মোরাদাবাদের জেলাশাসক রাকেশ সিং বলেছেন, এই মৃত্যুর কারণ জানতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মহীপালের হৃদপিণ্ডের আকার বেড়ে গিয়েছিল এবং তাতে রক্তও জমাট বেঁধেছিল। হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি।  আরও পড়ুন-Jitendra Tiwari: দলে থেকেও ব্রাত্য! টুইটে জল্পনা উসকে দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি

তিনজন চিকিৎসক ওই স্বাস্থ্যকর্মীর ময়নাতদন্ত করেছেন। তাঁদের রিপোর্ট বলছে, কার্ডিও পালমোনারি ডিজিজে মহীপালের মৃত্যু হয়েছে। করোনার প্রতিষেধকের জন্য নয়। তাই কোভিড টিকার কারণে ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়ের মৃত্যু হয়েছে মানতে নারাজ মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা মিলিন্দ চন্দ্র গর্গ। তবে তিনি একটা বিষয় মেনে নিয়েছেন যে, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও মৃত মহীপালের ছেলে বিশালের বক্তব্য কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই গিয়েছে। বিশাল জানিয়েছেন, বাবার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। এমনিতে কাশি হয়েছিল তাঁর। তবে টিকা নেওয়ার রেই জ্বর আসে। সঙ্গে নিঃশ্বাসে সমস্যা শুরু হয়। রবিবার এই অসুস্থতা নিয়েই তাঁকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে মারা যান।

মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা মিলিন্দ চন্দ্র গর্গ বলেছেন, টিকা নেওয়ার পর সাধারণ কিছু সমস্যার মধ্যে সবাইকেই পড়তে হয়েছে। তবে তার সঙ্গে মহীপালের মতো অসুস্থ কেউ হননি। যদিও মহীপালের পরিবারের সদস্যদের দাবি, হৃদরোগ জনিত কোনও সমস্যা তাঁর ছিল না। জ্বর ও সর্দিকাশির মতো সাধারণ সমস্যা ছাড়া তিনি রীতিমতো সুস্থই ছিলেন। এই প্রসঙ্গে বিশাল বলেছেন, আমার মহামীরর সময়ে বাবা হাসপাতালে নিয়মিত কাজ করলেও করোনায় আক্রান্ত হননি। জেলাশাসক রাকেশ সিং বলেছেন, টিকাকরণ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর এখনও মেলেনি। এক্ষেত্রে মহীপালের ঘটনাটি ব্যাতিক্রম। তাইমৃত্যুর প্রকৃতকারণ অনুসন্ধানে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে