Rahul Gandhi: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধে পাঁচটি যুদ্ধবিমান (Fighter Jet) ধ্বংস হয়েছিল বলে দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (President Donald Trump)। যেখানে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি উড়িয়ে ভারত বারবার জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে তাদের কোনও যুদ্ধবিমানে কোনওরকম ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ভারত সরকারের দাবি উড়িয়ে খোদ ট্রাম্প (Trump) বললেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ৪ থেকে ৫টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল। সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও দাবি করেছেন, তিনি বাণিজ্য চুক্তি বন্ধের হুমকি দিয়ে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশকে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য করেছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে ট্রাম্পের দাবি নিয়ে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি প্রশ্ন করলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে যুদ্ধবিমান ভাঙার সত্যতা নিয়ে জানতে চাইলেন রাহুল গান্ধী
টুইটার প্ল্যাটফর্মে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী সরাসরি লিখলেন, "মোদী জি, ৫টি যুদ্ধ বিমানের সত্য়িটা আসলে কি? দেশের মানুষের এটা জানার অধিকার আছে।" সেই এক্স পোস্টে রাহুল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ভিডিও পোস্ট করেন। আগামী সোমবার থেকে সংসদ শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। ট্রাম্পের যুদ্ধবিমান ভাঙা নিয়ে দাবি নিয়ে মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে তৈরি হচ্ছেন রাহুল গান্ধী সহ বিরোধীরা। আরও পড়ুন-Puri Horror: ভয়ানক কাণ্ড! পুরীতে প্রকাশ্য দিবালোকে নাবালিকার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তিন যুবকের বিরুদ্ধে
দেখুন এক্স প্ল্যাটফর্মে কী লিখলেন রাহুল গান্ধী
मोदी जी, 5 जहाज़ों का सच क्या है?
देश को जानने का हक है! pic.twitter.com/mQeaGCz4wp
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 19, 2025
মোদী সরকারের বিদেশ নীতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন সরব
পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অপারেশন সিঁদুর-কে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছিল দেশের বিরোধী দলগুলি। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় সেনার প্রশংসা করেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু এরপর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা-সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি, যুদ্ধবিমান ভাঙা, দেশের বিদেশ নীতি প্রশ্ন তুলে বারবার সরব হয়েছেন রাহুল। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভাঙার দাবি নিয়েও সরাসরি মোদী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন রায়বারেলির কংগ্রেস সাংসদ।