
দিল্লি,১০ জুন: সোনম রঘুবংশীকে (Sonam Raghuwanshi) নিয়ে একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সোনম রঘুবংশী কীভাবে রাজা রঘুবংশীকে বিয়ে করে এবং হানিমুনের পরিকল্পনার মাধ্যমে খুন করে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। সোনম রঘুুবংশী বিয়ের ৩ দিন পরই রাজাকে (Raja Raghuwanshi) খুনের পরিকল্পনা করে বলে জানা যায়। সেই থেকে সে একের পর এক ছক কষতে শুরু করে এবং রাজাকে নিয়ে মেঘালয়ে পাড়ি দেয়। হানিমুনের নাম করে রাজা রঘুবংশীকে নিয়ে মেঘালয়ের (Meghalaya Couple Murder) সোরাতে যায় সোনম। তারপর ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে খুন করায় রাজা রঘুবংশীকে।
রাজাকে খুনের পর সোনম মেঘালয় থেকে অসম এবং পরে উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দেয়। এরপর গাজিপুরের কাশি ধাবায় গিয়ে হাজির হয়। এরপর কাশি ধাবা থেকে সোনম ফোন করে বাড়িতে। বোনের ফোন পেয়ে দাদা তাকে আত্মসমর্পণের কথা বলে। এরপরই সোনমকে স্থানীয় থানার তরফে গ্রেফতার করা হয়।
রাজা রঘুবংশীকে যাতে পরিবার এববং ঘনিষ্ঠদের চোখের সামনে থেকে সরিয়ে খুন করা যায়, সেই পরিকল্পনা করে সোনম এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তাইতো মেঘালয়ে (Meghalaya Couple Murder) চেরাপুঞ্জির গভীর জঙ্গলের কাছে রাজাকে খুন করা হয় এবং তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হয় পাহাড়ের গর্তে। এরপর পুলিশ ড্রোন ব্যবহার করে রাজার খোঁজ চাালায়। শেষে সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনমের গ্রেফতারির পর উত্তরপ্রদেশে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ইন্দোরের ওই তরুণী স্বামীকে খুনের জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়ে আসে বলে স্বীকার করেছে। রাজ কুশওয়া (Raj Kushwaha) নামে সোনমের প্রেমিক ওই খুনিদের তালিকায় রয়েছে। রাজ কুশওয়ার সঙ্গে আরও ৩ জনকে সোনম টাকা দিয়ে নিয়ে আসে রাজা রঘুবংশীকে খুনের জন্য। আকাশ রাজপুত, ভিকি এবং আনন্দ নামে আরও ৩ জনকে রাজ সনাক্ত করেছ রাজা রঘুবংশীর খুনি হিসেবে।
এসবের পাশপাশি সোনমের মোবাইল থেকে তার সঙ্গে রাজ কুশওয়ার কথোপকথন উদ্ধার করে পুলিশ। যেখানে সোনমকে বলতে শোনা যায়, রাজা রঘুবংশী তার কাছে যান, তা সে পছন্দ করে না। ফলে রাজা রঘুবংশীকে কোনওভাবে সোনম নিজের কাছে যেতে দিতে না বলে ওই চ্যাট থেকে পুলিশ তথ্য উদ্ধার করে।